মাথাভাঙ্গা মনিটর: ‘শ্যুট আস। উই নেভার গো ব্যাক বাংলাদেশ।’ আমাদের গুলি করো। আমরা কখনোই বাংলাদেশে ফিরে যাবো না। গ্রিস আর মেসিডোনিয়ার সীমান্তে আটকে পড়া একদল বাংলাদেশি এরকম প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করছিলেন। কার্ডবোর্ডের প্ল্যাকার্ডে তারা আরো আকুতি জানিয়েছেন তাদের সাহায্য করার জন্য।
ধারণা করা হচ্ছে, মেসিডোনিয়া এবং গ্রিসের সীমান্তে যে শ শ অভিবাসী এবং শরণার্থী আটকে পড়েছে, তাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশি রয়েছে। রয়েছে ইরান, পাকিস্তানসহ আরো অনেক দেশের অভিবাসী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের মাঝ থেকে মেসিডোনিয়া কেবল সিরিয়া, ইরাক এবং আফগানিস্তানের নাগরিকদেরই তাদের দেশের ভেতর দিয়ে ইউরোপের অন্যদেশে যেতে দিচ্ছে। অন্যদের এখানে আটকে রাখা হচ্ছে। এ নিয়ে অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এর বিরুদ্ধে তারা সীমান্তে কয়েক দফা বিক্ষোভও করেছে। অভিবাসী এবং শরণার্থীদের স্রোত থামাতে মেসিডোনিয়ার সৈন্যরা গ্রিসের সাথে তাদের দক্ষিণ সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করছে। তবে শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার খবর অস্বীকার করেছে মেসিডোনিয়ার সরকার।