স্টাফ রিপোর্টার: যশোর সদর উপজেলার কৈখালী বাঁওড়ে মাছ চাষ করাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার রাতে মামড়াখোলা গ্রামের মাথাভাঙ্গা বাজারের ৫/৬টি দোকান ভাঙচুর, লুটপাট এবং বোমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় গতকাল শনিবার কোতয়ালি থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন বাঘারপাড়া উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত বান্দা আলী শেখের ছেলে হুসাইন শেখ। আসামিরা হলো, দেয়াপাড়া গ্রামের মৃত কাজী গোলাম সরোয়ারের দুই ছেলে কেএম সাকিব স্বপন, রতন কাজী, মৃত ইছাহাক মোল্লার ছেলে মোশারেফ মোল্লা, মৃত কোরবান আলী মীরের ছেলে মীর জাকির হোসেন, রোজা কাজীর ছেলে কাজী মোহাম্মদ আলী কেলে, রতন কাজীর ছেলে সৌরভ কাজী, দাউদ মোল্লার ছেলে হুমায়ুন মোল্লা, মৃত মোতালেব মোল্লার ছেলে বিপুল মোল্লা, গণি কাজীর ছেলে রাজ্জাক কাজী, মৃত হারুন কাজীর ছেলে ইমরান কাজী, মৃত ইসলাম মীরের ছেলে কাইলো ওরফে কালু, এজাহার শেখের ছেলে হিরণ শেখ, জপসার মীরের ছেলে ফাইট মীর তৈয়ব মীরের ছেলে তুহিন মীর, মামড়াখোলা গ্রামের মৃত মাজেদ মোল্লার ছেলে একরাম মোল্লা, রব আলী মীরের ছেলে আয়ুব আলী মীর, হবি মোল্লার ছেলে সবুজ মোল্লা, মৃত গণি মোড়লের ছেলে বারিক মোড়ল, ঘুনি গ্রামের ইউনুস ওরফে খুইন্যা ইউনুস এবং কৈখালী গ্রামের সামাদ শেখের ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কৈখালী বাঁওড়ে মাছ চাষ নিয়ে আসামিদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে আসামিরা শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে মাথাভাঙ্গা বাজারে বাদীর ডেকোরেটরের দোকান এবং শেখ সুইট নামে দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়। সেখানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। এরপর ৫/৬টি দোকান ভাঙচুর করে সাড়ে ১১ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এছাড়া বিভিন্ন দোকান থেকে ১৪ লাখ ৬ হাজার ৫শ টাকার মালামাল লুট করে। এ সময় বাজারে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে আসামিরা সেখানে ফের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।