স্টাফ রিপোর্টার: ‘বদমাইশ! আর ওরকম কিছু যেন না শুনি, যা।’ এই ধমকেই চুয়াডাঙ্গা শান্তিপাড়ার কয়েক মাতবর আড়াল করলেন এক স্কুলছাত্রীকে বেধে ধর্ষণ বা ধর্ষণের অপচেষ্টার অপরাধ। সালিসে শাস্তির নামে ধমক? সন্তুষ্টু নন স্কুলছাত্রীর বিধবা মা। তিনি বলেছেন, আমার বড় ছেলে নেই, স্বামী্ও মারা গেছে। তাই বিচারের নামে ধমকটাই হলো শাস্তি। গরিব মানুষ কি বিচার পায়?
স্থানীয়দের অনেকেই বলেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শান্তিপাড়ার লালনের ছেলে নাভিল বিস্কুট কারখানায় কাজ করে। পিতা দোকানদার। গত মঙ্গলবার নাভিল তার ছোটো বোনের বান্ধবী তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে হাত মুখ বেঁধে ঘরের দরজা দিয়ে ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওর বোনই প্রতিবেশীকে ডাকে। প্রতিবেশী দরজা খুলে হাত মুখ বাঁধনমুক্ত করে বাড়ি পাঠায় স্কুলছাত্রীকে। বিষয়টি প্রকাশ করলে খুনের হুমকিও দেয় নাভিল (১৮)। বিষয়টি পরে জানাজানি হলে বিচারের প্রতিশ্রুতি দেন স্থানীয়দের কয়েকজন। গতকাল সন্ধ্যায় আবুল কালাম ও আব্দুল জলিলসহ কয়েকজন সালিসে বসেন। ঘটনা শুনে অভিযুক্তকে ধমক দিয়েই সালিস শেষ করেন। এরপর স্কুলছাত্রীর মা ক্ষোভের সাথে বলেন, পরের বাড়ি ঝিয়ের কাজ করি। মহল্লায় বিচার পাবো বলে আশায় ছিলাম। গরিব। বিচার হলো না।
কেন পুলিশ? স্কুলছাত্রীর মায়ের পাল্টা প্রশ্ন- টাকা পাবো কোথায়? থানায় গেলে টাকা লাগে নাকি? এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছে ফিরলেন নিজের বাড়ি।