স্টাফ রিপোর্টার: ২২ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ১৩টি কেন্দ্রে ছাত্র ছিলো ২ হাজার ১৭৫ জন এবং ছাত্রী ছিলো ২ হাজার ৬৪১ জন। এর মধ্যে ৩৭ ছাত্র ও ৫৩ জন ছাত্রী ছিলো অনুপস্থিত।
অভিযোগ উঠেছে, এ পরীক্ষায় দামুড়হুদা উপজেলার মদনা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পূর্বরামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদকে হল সুপার, পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সানোয়ারকে সহকারী হলসুপার ও জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দিয়ে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরজাহান। এ নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধান শিক্ষকরা।
তারা জানান, পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশাবলির নিয়োগ সংক্রান্ত পরিপত্রে উল্লেখ রয়েছে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন কেন্দ্র সচিব ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, একজন হলসুপার ও একজন সহকারী হলসুপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হতে হবে। এছাড়া সহায়কগণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হবেন। অথচ এসব পরিপত্রের নিয়ম নির্দেশ না মেনে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরজাহান তার ইচ্ছে মতো সহকারী শিক্ষককে সহকারী হলসুপার এবং প্রধান শিক্ষককে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এদিকে গত ২২ নভেম্বর ইংরেজি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে কাদিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজিয়া আফরোজ, চারুলিয়া শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম খান এবং ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পরীক্ষায় আয়েশা সিদ্দিকাকে দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অব্যাহতির বিষয়ে দামুড়হুদা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যলয় কেন্দ্রের সহকারী হলসুপার হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন কিভাবে একজন প্রধান শিক্ষক অফিস সহকারী এবং একজন সহকারী শিক্ষক সহকারী হলসুপার হন তা বোধগম্য নয়। তাছাড়া যেখানে শিক্ষকদের মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ বা তার বেশি মহিলা রয়েছে সেখানে মাত্র একজন মহিলা প্রধান শিক্ষককে হলসুপার করা হয়েছে। এতে উপজেলার মহিলা শিক্ষকগণ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।