স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে মাথাভাঙ্গা নদীতে দেয়া বাঁধ অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পার্কের নিকটবর্তী স্থান থেকে শুরু করে দামুড়হুদা সীমানা পর্যন্ত ছোট-বড় অসংখ্য বাঁধ তুলে দেয়া হয়েছে। জেলা মৎস্য অধিদফতরের উদ্যোগে এ অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়।
চুয়াডাঙ্গা ঐতিহ্যবাহী নদী মাথাভাঙ্গায় অসংখ্য বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছিলো অসংখ্য ব্যক্তি। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের হাটকালুগঞ্জ এলাকায় শতাধিক বাঁধ ছিলো। বাঁধ দেয়ার ফলে যেমনি স্রোত আটকিয়ে নদী নাব্যতা হারাচ্ছে, তেমনি পলি পড়ে দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরেই জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি মাথাভাঙ্গা থেকে সব রকম বাঁধ অপসারণ অভিযানের উদ্বোধন করেন। তারপরেও চোখ ফাঁকি দিয়ে হাটকালুগঞ্জের রমজানসহ বেশ কয়েকজন নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার শুরু করেন। মাছ ধরার জন্য মাছ শিকারীরা পলিথিন, বাঁশ, চাটাই ও জাল দিয়ে এমনভাবে নদী ঘিরেছে যে মাছের ডিম পর্যন্ত ফসকে যেতে পারছে না। এ বিষয়ে গত রোববার দৈনিক মাথাভাঙ্গায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই জেলা মৎস্য অধিদফতর পুলিশের সহযোগিতায় গতকাল সোমবার বাঁধ অপসারণ অভিযান শুরু করে। আড়াআড়ি বাঁধ, কোমর বাঁধসহ অনেক বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাথাভাঙ্গা নদীর যেসব অঞ্চলে এমন বাঁধ দেয়া হয়েছে, সেসব এলাকায় অপসারণ অভিযান চলবে। গতকাল বাঁধ অপসারণ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ ও সহকারী মৎস্য অফিসার শহিদুল ইসলাম।