স্টাফ রিপোর্টার: যশোর সরকারি এমএম কলেজের একটি ছাত্রাবাসে ইসলামী ছাত্র শিবিরের এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জামায়াতে ইসলামীর দেশব্যাপী হরতালের মধ্যে গতকাল সোমবার বিকেলে শহরের রেলস্টেশন এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হন বলে জানান কোতোয়ালি থানার ওসি সিকদার আক্কাস আলী। ছাত্রলীগ পিটিয়েছে বলে আহতরা অভিযোগ করলেও তা অস্বীকার করেছে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ছাত্র সংগঠনটি। নিহত হাবিবুল্লাহ (২২) শার্শা উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে। তিনি এমএম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আহত দুজন হলেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ছোট খুদরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে কামরুল হাসান (২২) ও মাগুরার শালিখা উপজেলার আতিয়ার রহমানের ছেলে আল-মামুন (২২)। দুজনেই হাবিবুল্লার সহপাঠী। তিন জনই ছাত্র শিবিরের কর্মী বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা জামায়াত ইসলামীর এক নেতা জানান।
ওসি বলেন, বিকালে এমএম কলেজ এলাকার একটি ছাত্রাবাসে শিবিরকর্মীরা গোপন বৈঠক করছিলো। এ খবর পেয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিষয়টি জানতে পেরে সাধারণ ছাত্ররা তাদেরকে পিটুনি দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় হাবিবুল্লাহ মারা যান। আহত আল মামুন বলেন, ছাত্রলীগকর্মীরা আমাদের রেলস্টেশন এলাকার ছাত্রাবাসে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনা অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, এ ঘটনার সাথে ছাত্রলীগ কর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শিবিরের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে সাধারণ ছাত্ররা তাদেরকে মারধর করেছে।