স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সম্মেলন আগামী ২ ডিসেম্বর। এ দিনটি নির্ধারণ ও প্রস্তুতিসভার মধ্যদিয়ে সম্মেলন শুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সম্মেলনে কে কী হচ্ছেন তা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। বিশেষ করে তৃণমূলে দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের অনেকেই জমিয়ে তুলেছেন চা দোকানের বেঞ্চ, গ্রামের মহল্লাবেজে গড়ে তোলা মাঁচাতেও সম্মেলন নিয়ে মচমচে আলোচনা।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রদবদলের তেমন সম্ভাবনা নেই বলে কেউ কউ মন্তব্য করে বলেছে, সিনিয়র সহসভাপতিসহ বেশ কয়েকটি পদে রদবদল হতে পারে। গতপরশু চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হু্ইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ। জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না। প্রস্তুতিসভায় অনুপস্থিত দেখে অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, ২ ডিসেম্বর সম্মেলন হলে এমপি টগরের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে তার আগে জেলা যুবলীগের বাতিলকৃত কমিটি পুনর্বহাল হলে চিত্রটা পাল্টে যেতে পারে। যদিও সে আশা খুবই ক্ষীণ। এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে রদবদল হলে কে আসতে পারেন উঠে? এ প্রশ্নও অনেকের মুখে মুখে। চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের নাম যেমন আলোচনায় দীর্ঘদিন ধরে, তেমনই চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান. জীবননগরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা, আলমডাঙ্গার আরঙ্গজেব সুলতান টিপুকে নিয়েও আলোচনায় কমতি নেই। অবশ্য এদের তেমন কেউই নিজেদের মুখ থেকে ওই পদ নেয়ার তেমন ইচ্ছে কারো কাছেই ব্যক্ত করেননি। দলীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে আলোচনা করে এরকমই তথ্য পাওয়া গেছে, তবে পরিচয় দিয়ে সম্মেলনের আগে তেমন কেউই মুখ খুলতে রাজি নন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৪ সালের ১৮ এপ্রিল। গত প্রায় এক বছর ধরেই চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে হবে অবস্থায় ছিলো। কয়েক দফা প্রাথমিক দিনক্ষণও নির্ধারণ করা হয়। অবশ্য নানা কারণে দিন পরিবর্তনের পর আগামী ২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম এমপি, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপিসহ কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতা এমপি সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে সম্মেলনের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।