চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ঘুর ঘুর করছে চোরসহ হরেক কিসিমের ঠকবাজ

৫শ নিয়ে পালিয়েছে বোকা বোকা চেহারার প্রতারক

স্টাফ রিপোর্টার: বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। দেখতে খানেকটা হাবাগোবা, গোব্যচারা। ওই ছেলেটাই যে চোর প্রতারক তা বুঝবো কীভাবে? ওষুধ কিনে এনে দিচ্ছি বলে ৫শ টাকার নোট নিয়ে চম্পট দেয়া যুবকের বর্ণনা দিতে গিয়ে মধ্যবয়সী আকলিমা খাতুন এভাবেই প্রশ্ন তুললেন।
আকলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী কালুর শাশুড়ি। কালু জীবননগর উপজেলার ধোপাখালীর মৃত চাঁদ আলীর ছেলে। হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগী কালুর পাশেই ছিলেন শাশুড়ি আকলিমা খাতুন। গতকাল বিকেলে শয্যাপাশে আসে আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক যুবক। খাতির জমায়। রোগীর সেবা করার অজুহাতে আপনজন সেজে বসে। কখনো বলে, রোগীর পাশে আমি আছি, কোনো কাজ থাকলে খালা আপনি সেরে আসেন। নার্স ডাকবেন? যান- ডেকে আনুন, আমি আছি রোগীর পাশে।’ দরদী আচরণ আর কথায় বিশ্বাস জন্মে যায় খালাম্মার। তিনি ওষুধ কেনার জন্য ৫শ টাকার নোট দেন। টাকা নিয়ে চম্পট বোকা বোকা চেহারার প্রতারক।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগী ও রোগীর লোকজনের আশপাশেই ঘুর ঘুর করে হরেক কিসিমের প্রতারক, চোর। সুযোগ খোঁজে। চোখের পলকে চুরি করে। সরল সোজা কাউকে পেলে আপন সেজে টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। গতকাল বিকেলে বোকা বোকা চেহারার যুবক ৫শ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বোকা বানিয়েছে সরল সোজা আকলিমা খাতুনকে।