আসন্ন পিএসসি ও এবতেদায়ি পরীক্ষা হোক সকল শঙ্কামুক্ত
এবার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ধ্বংসাত্বক চক্রান্ত তেমন ছিলো না বললেই চলে। যদিও দু একটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে চাপা গুঞ্জন ছিলো। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে সারাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে প্রাথমিক সমাপনী বা পিএসসি ও সমমানের এবতেদায়ি পরীক্ষা। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসমুক্ত করার জন্য ৮ সেট প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এ পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
পরীক্ষা ছাড়াই বছরান্তে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ একটি পদ্ধতি, আর যথাযথ মূল্যায়নের পরীক্ষা নেয়া এক ধরনের পদ্ধতি। যেহেতু পরীক্ষা নিয়ে মেধা বা লেখাপড়ায় মনোনিবেশের বিষয়টি মূল্যায়ন করার পদ্ধতি আমাদের দেশে প্রচলিত, সেহেতু নকলমুক্ত পরিবেশে স্বচ্ছ্বতার সাথেই পরীক্ষা নেয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো শুধু সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বই নয়, শিক্ষা ব্যবস্থাকে সুপথে রাখতে হলে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। গত কয়েক বছর ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যা হলো তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো বটে। আর ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস? মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে এবার যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তাও ভয়ঙ্কর। আত্মঘাতী। কারণ, মেধার ভিত্তিতে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির যোগ্যতা যাচাই করা হয়, সে প্রতিষ্ঠানে তুলনামূলক কম মেধাবীরা যদি বিশেষ ব্যবস্থায়, বিশেষভাবে প্রশ্ন পেয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যায় তা হলে প্রকৃত মেধাবীরা শুধু ছিটকেই পড়ে না, তার কুপ্রভাব পড়ে প্রজন্মের ওপর। কুফল বহন করতে তথা খেসারত দিতে হয় গোটা জাতির। কেননা প্রকৃত মেধাবীর চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হয় দেশবাসীকে।
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যতোটুকু গুঞ্জন উঠেছে, আসন্ন পিএসসি এবতেদায়ি পরীক্ষায় যাতে সেটুকুও না হয়, সেদিকে সর্বাত্মক সচেষ্ট হতে হবে। কারণ, কোমলমতি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে শঙ্কা জাতির ভবিষ্যতের ওপর কুঠারাঘাত। প্রশ্নপত্র ফাঁস দূরাস্ত, ফাঁস হতে পারে, কেউ কেউ বোধ হয় প্রশ্নপত্র পেয়ে গেছে এরকম শঙ্কাও জাতির ভবিষ্যতের জন্য বড় ক্ষতির কারণ। ফলে সাবধান!