স্টাফ রিপোর্টার: বিজিবিতে রিক্রুটিঙে ভুয়া পরীক্ষার্থী আল আমিন (২০) ও আবির চন্দ্র দাস (১৯) হাতেনাতে ধরা পড়েছে। গতকাল চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরস্থ ৬ বিজিবির তত্ত্বাবধানে শরীয়তপুর জেলার ৮৮তম ব্যাচে রিক্রুটিঙে অন্যের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিষয়টি জানার সাথে সাথে ৬ বিজিবি দুজনকে আটক করে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করে।
হাতেনাতে ধরা পড়া দুজনের মধ্যে আল আমিন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নীলকুণ্ঠপুরের রুহুল আমিনের ছেলে। সে শরীয়তপুর স্বরুপকাঠির পঞ্চকাঠি গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে আল আমিনের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়। আবির চন্দ্র দাস পঞ্চকাঠির অতুল চন্দ্র দাসের ছেলে।
৬ বিজিবি জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সকালে ৬ বিজিবির তত্ত্বাবধানে শরীয়তপুরের ৮৮তম ব্যাচের রিক্রুটিং চলাকালে পরিচালক জানতে পারেন, কয়েক ভুয়া পরীক্ষার্থী অন্যের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এছাড়া মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে একটি চক্র এসব অনিয়ম করার চেষ্টা করছে। এ তথ্য পেয়ে পরিচালক লে. কর্নেল মনিরুজ্জামানের নির্দেশে হাতেনাতে দুজনকে ধরা হয়। দুজনকে মামলাসহ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে শরীয়তপুরের পঞ্চকাঠির রুহুল আমিনের ছেলে আল আমিন (১৯) ও স্বর্ণঘোষ গ্রামের করিম হাওলাদারের ছেলে অপু হাওলাদারকে(২০)।
বিজিবিতে লোক ভর্তির সময় এ ধরনের পরীক্ষা জালিয়াতি এবং ভূয়া দালাল চক্রের নিকট হতে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করেছেন লে.কর্নেল মনিরুজ্জামান।