স্টাফ রিপোর্টার/ দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী মফিজুল ইসলাম মফি নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে তোফাজ্জেল হোসেনের বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মফিজুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শেখপাড়ার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে। ক্রাউন কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। বাইসাইকেলযোগে দামুড়হুদার দিকে রওনা হয়ে একই কোম্পানির সিমেন্ট বহন করা কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসার এক পর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে মারা যান তিনি। ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের প্রক্রিয়া করা হয়। দুর্ঘটনার পর চালক সটকে পড়লেও কাভার্ডভ্যান
(ঢাকা মেট্রো ট-১১-১৭৭৫) পুলিশ আটক করে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ আটক করলেও পরে তা আপস মীমাংসায় ছেড়ে দেয়ার প্রক্রিয়া করা হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানান, গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে একটি বেসরকারি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মফিজুল (৪০) বাইসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গা থেকে দামুড়হুদা অভিমুখে যাওয়ার সময় বাসস্ট্যান্ডের অদূরে তোফাজ্জেলের বাড়ির সামনে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা চুয়াডাঙ্গাগামী সিমেন্ট ভর্তি একটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দেয়ূ। তিনি রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে রক্তাক্ত জখম হন। পথচারীরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে সিমেন্ট ভর্তি কাভার্ডভ্যান ও এর হেলপার খুলনার বটিয়াঘাটার আলাউদ্দিনের ছেলে আবুল কাশেমকে আটক করতে সক্ষম হলেও ড্রাইভার পালিয়ে যান।
নিহত মফিজুল ইসলামের মৃতদেহ গতকালই তার নিজ বাড়িতে নেয়া হয়। আজ সোমবার সকালে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে। পরিবারের সদস্যরা এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, মফিজুর রহমান ছিলেন দু কন্যার জনক। দু কন্যার মধ্যে ছোট মেয়ে রিমঝিম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।