সড়কটি ঠিক কতোদিন আগে সংস্কার করা হয়েছে তা এলাকাবাসী এখন আর মনে করতে না পারলেও মাঝে সড়ক মন্ত্রীর আগমনে আলগা ইট-শুরকি দিয়ে ফুটো বন্ধের মতো নামকওয়াস্তে মেরামতের কথা স্মৃতিপটে এখনও স্পষ্ট। যদিও সড়ক-সেতু মন্ত্রীর আগমনও অনেকদিন হয়ে গেলো। সড়কটি আর সংস্কার হয়নি, এখন এতোটাই বেহালদশা যে সড়কে আর যান চলাচলের জো নেই। ফলে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বাস। চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া ভায়া আলমডাঙ্গা সড়কের যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়ভাবে সড়ক বিভাগের নামকাওয়াস্তে ইট-সুরকি দেয়ার দৃশ্য পরিলক্ষিত হলেও তা সড়ক মন্ত্রীর ঘুরে যাওয়ার পর বন্ধ হয়ে গেছে। কেন? লা জবাব।
উন্নয়নের জোয়ার যতোটা নেতাদের বক্তব্যে, তার ছিটেফোটাও যদি দীর্ঘদিন ধরে বেহালদশাগ্রস্ত সড়কে পড়তো তা হলে আর যাই হোক সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হতো না। সড়কটির চুয়াডাঙ্গা অংশ বেশ চকচকে। যদিও গেলো বর্ষায় কিছুটা খানাখন্দ দেখা দিয়েছে। কুষ্টিয়া জেলাভুক্ত অংশ দীর্ঘ এক দেড় যুগেও সংস্কার করা হয়নি। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। বড় বড় গর্তে সড়কটি একেবারেই যানবাহন চলাচলের উপযোগিতা হারিয়েছে। অবশ্য যতো বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, তা হয়তো হতো না যদি যাত্রীবহন করা সাধারণ বাস আর ৫ টন মালবহনের ট্রাকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো। ১০ চাকার বড় বড় ট্রাকে ২৫/৩৫ টন লোড টানে বাধা ছাড়াই চলছে ক্যানাল ঘেঁষা এ সড়ক দিয়ে। ভাগ্যিস সড়ক ধসে জিকে ক্যানেলে পড়তে হয়নি কাউকে। শুকরিয়া।
কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা সড়কটি এক সময় গরুর গাড়ি চলার উপযোগী ছিলো। যাকে ঠিক মেঠো পথ বলা যায়। কালক্রমে প্রয়োজনের তাগিদেই সড়কটি আন্তঃজেলা সড়কে উন্নীত হয়েছে। অথচ উন্নয়নের ছোঁয়া নেই। শুধু আন্তঃজেলা এ সড়কটিই নয়, অনেক সড়কই রয়েছে যার দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। কালবিলম্বে বাড়বে দুর্ভোগ। পুঞ্জিভূত হবে ক্ষোভ। সড়কটির চুয়াডাঙ্গা অংশে যখন সংস্কার করা হয় তখনই কুষ্টিয়া অংশেও করতে হতো। হয়নি, হেতু এখন চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া উভয়জেলা ভুক্ত অংশই সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া জরুরি। তা না হলে কুষ্টিয়া অংশের সংস্কার করতে করতে চুয়াডাঙ্গা অংশের বর্তমানের ছোট ছোট ক্ষত বড় বড় গর্তে রূপান্তর হবে। থেকেই যাবে দুর্ভোগ।