গাংনী প্রতিনিধি: নাশকতা প্রতিরোধে সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুর জেলাতেও যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে শনিবার রাতভর গাংনী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে জামায়াতের ১৫ কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা পুর্বের নাশকতার বিভিন্ন মামলার আসামি হওয়ায় গতকালই তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- গাংনী উপজেলার এলাঙ্গি গ্রামের আবুস উদ্দীন (৬০), ভোলাডাঙ্গার ফরমান আলী (৪৫), চাঁদপুরের রওশন আলী (৪৫), চৌগাছার বিপ্লব হোসেন (২৭) ও রুস্তম আলী (৫৭), বাঁশবাড়ীয়ার আফসার আলী (৫০), আদম আলী (৪৭) ও এনামুল হক রানা (৪৮), নওপাড়ার মনিরুল ইসলাম (৫৬), জুগিন্দার খাইরুল ইসলাম (৪৯), বাহাগুন্দার আব্দুস সামাদ (৫০) ও আবুল কাশেম (৫৫), কষবার ইমতিয়াজ আলী (৩৫), করমদির হযরত আলী (৫০) এবং কোদাইলকাটির মনিরুল ইসলাম (৩৩)।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন জানান, নাশকতা কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে দেশব্যাপী যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। এর অংশ হিসেবে শনিবার রাতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় নাশকতার আশঙ্কায় চিহ্নিত গ্রাম ও স্থানে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছিলো। এক পর্যায়ে কয়েকটি গ্রাম থেকে ১৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় যৌথ বাহিনীর পৃথক কয়েকটি অভিযান দলের সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা ২০১৩ সালে নাশকতার কয়েকটি ঘটনার মামলার এজাহার নামীয় আসামি। এদের মধ্যে আবুল কাশেম আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। বাকি ১৪ জনের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। আবুল কাশেমকে ১৫৪ ধারায় এবং বাকি ১৪ জনকে স্ব স্ব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকালই মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তাদেরকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওসি আরো জানান, যেকোন মূল্যে নাশকতা প্রতিরোধে মাঠে নেমেছে যৌথ বাহিনী। এ অভিযান যতদিন প্রয়োজন ততদিন অব্যহত থাকবে। নাশকতা সৃষ্টির স্থান ও জামায়াত-বিএনপির কিছু ব্যক্তি নাশকতা ঘটাতে পারে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা বিভাগসহ পুলিশের নিজস্ব মাধ্যম থেকে তথ্য নিয়ে ইতোমধ্যে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের অচিরেই গ্রেফতার করা হবে।
এদিকে যৌথ বাহিনীর অভিযানের খবর পেয়ে জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে অজানা এক আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল সকাল থেকেই অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। নিয়মিত গাংনী শহরে যারা ঘোরাফেরা কিংবা কাজকর্মে আসতেন তাদের অনেকেই গতকাল গাংনীতে পা রাখেননি। গ্রেফতার আতঙ্কে গতরাতে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র রাত্রিযাপন করেছেন।