মাথাভাঙ্গা মনিটর: শুরুর দিকে শূন্যতার আঁচটা টের পাওয়া গিয়েছিলো। কিন্তু লিওনেল মেসি যে মাঠে নেই, সেই অভাবটা যেন বুঝতেই দিচ্ছে না নেইমার-সুয়ারেজের যুগলবন্দী। মেসিকে ছাড়া আটটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে বার্সেলোনা। দু-একটি ম্যাচ ছাড়া কখনোই আর্জেন্টাইন তারকার অভাব খুব একটা বেশি বোঝা যায়নি। ‘এম’ নেই তো কী হয়েছে, ‘এস-এন’ তো আছে। এ আট ম্যাচে এরই মধ্যে ১৭ গোল করেছেন কেবল নেইমার আর সুয়ারেজ। কিন্তু এ দুজনই বলছেন, মেসিকে ভীষণ দরকার। মেসিকে ছাড়া আটটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে বার্সা। দুটি ছাড়া জয় পেয়েছে সবগুলোতে। গোল করেছে ১৮টি। এর মধ্যে ৯টি গোল করেছেন নেইমার, আটটি সুয়ারেজ। দুজনই করেছেন হ্যাটট্রিক। মেসির চোটের আগে সুয়ারেজ গোল করেছেন চারটি, নেইমার মাত্র দুটি। পরিসংখ্যানই বলছে, মেসি না থাকায় নিজেদের পুরোপুরি মেলে ধরেছেন এ দুজন। মেসি না-থাকাটা তো তাঁদের জন্য ‘সুবিধা’ই।
গত বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে বাতে বরিসভের সাথে ৩-০ গোলের জয়টাও এসেছে নেইমার-সুয়ারেজের পায়ে ভর করে। নেইমার দু গোল করেছেন, সুয়ারেজ অন্যটি। শুধু গোলই নয়, গোল করানোতেও এ দুজন যেন ক্লান্তিহীন। এ সময়ে নেইমারের ৫ অ্যাসিস্টের পাশে সুয়ারেজের ২টি তো সে কথাই বলছে। এ সংখ্যাগুলো যেটা বোঝাতে পারছে না, তা হলো, এ ম্যাচগুলোর প্রতিটিতেই যেন নিজেদের আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়ে নেমেছেন নেইমার-সুয়ারেজ। সুয়ারেজের ‘অফ দ্য বল রানিং’ অনেক সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। নেইমার তো আরও উদ্ভাসিত। নিচ থেকে খেলা গড়ে দিচ্ছেন, আবার দেখা গেল দৌঁড়ে উঠে আক্রমণে পূর্ণতাও দিচ্ছেন যেন মেসির মতো করেই বার্সার মশাল বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তবুও মেসির অভাব অনুভব করছেন ব্রাজিল তারকা। বাতে বরিসভ ম্যাচের পর স্প্যানিশ দৈনিকে নেইমার বলেছেন, ‘এটা পরিষ্কার যে আমরা মেসির অভাব বোধ করছি। ও বিশ্বের সেরা। আমার নিজের সময়টা অবশ্য বেশ ভালো যাচ্ছে। আশা করি এভাবেই চালিয়ে যেতে পারবো। মেসিবিহীন এই কয় ম্যাচ বার্সা বেশ ভালোভাবেই উতরে গেছে। এর কৃতিত্ব অনেকটাই এনরিকের। চিরাচরিত টিকি-টাকা ছেড়ে প্রতি আক্রমণের কৌশলে খেলাচ্ছেন বার্সাকে। মেসির ওপর অতি নির্ভর মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসাও তো বড় প্রাপ্তি। এনরিকেও কিন্তু ফোরফোরটুকে বলেছেন, অবশ্যই আমরা মেসিকে মিস করছি। ও আমাদের সেরা খেলোয়াড়।