নিরাপত্তাহীনতায় এলাকা ছাড়লেন সেই লাবণ্য হিজড়া
স্টাফ রিপোর্টার: ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানের দু হত্যাকারীকে ধরিয়ে দিয়ে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি। সাহসিকা আখ্যা দিয়ে তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও হয়েছে অনেক। দেশ ও দেশের বাইরে তার সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেছেন অনেকে। কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে ভয়ে শেষমেশ তিনি ঢাকা ছেড়েই চলে গেলেন। তিনি লাবণ্য হিজড়া। চলতি বছরের ৩০ মার্চ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের দক্ষিণ বেগুনবাড়িতে প্রকাশ্যে ওয়াশিকুরকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পালানোর সময় জিকরুল্লাহ ও আরিফুলকে ধরে ফেলেন লাবণ্য। পরে আশপাশের আরও কয়েকজন হিজড়া ও স্থানীয় লোকজন দৌড়ে গিয়ে দু হত্যাকারীকে আটকে ফেলেন। পরে তাদের পুলিশে দেয়া হয়। ঘটনার পরদিন ৩১ মার্চ ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন বাদী হয়ে জিকরুল্লাহ ও আরিফুলসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তভার ডিবিকে দেয়া হয়।
স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে গৃহবধূ নিহত
স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলা থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক গৃহবধূ। হামলায় স্বামী আহত হয়েছেন। সাঘাটা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গতকাল শুক্রবার কচুয়া ইউনিয়নের বুরুঙ্গি গ্রামে নিহত হন পারুল বেগম (৫০)। তিনি ওই এলাকার আফজাল মিস্ত্রির (৬০) স্ত্রী। আহত আফজাল মিস্ত্রিকে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ওসি। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আফজাল মিস্ত্রির সাথে একই গ্রামের নুরুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিলো। সকালে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নুরুল ইসলাম লোকজন নিয়ে লাঠি ও ধারালো অস্ত্রসহ আফজালের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় পারুল স্বামীকে বাঁচাতে গেলে হামলাকারীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে নুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় পারুলের ছেলে সাহরুল হোসেন সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে তুলে নিলো স্ত্রীর দু চোখ
স্টাফ রিপোর্টার: চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শিউলি খাতুনের (৩৬) দু চোখ তুলে নিলো তারই স্বামী জুয়েল হাসান। এখানেই ক্ষান্ত হয়নি পাষণ্ড স্বামী। স্ত্রীকে ওই অবস্থায় তালাবদ্ধ রেখে সটকে পড়ে সে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে টঙ্গীর জামাইবাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বর্বরতম এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজেদের ভাড়া বাসায় স্বামী জুয়েল চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে চোখ তুলে তার স্ত্রীকে ভেতরে রেখেই বাসা তালাবদ্ধ করে চলে যায়। চিৎকার শুনে পরে প্রতিবেশীরা পুলিশের সহায়তায় ঘরের তালা ভেঙে শিউলিকে উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, তার স্বামী নাকি ইয়াবা খায়। ওই দিন নেশার পরিমাণ বেশি হয়েছিলো। স্বামী প্রায় সারাক্ষণই ঘরে থাকে। তারপরও আমাকে সন্দেহ করে। শিউলি বলেন, এক পর্যায়ে ও বলে ঘরে কে এসেছিলো বলতে বলতেই আমার মুখে চেপেধরে হাত-পা বেঁধে মারধর করার এক পর্যায়ে আমি বেহুঁশ হয়ে যাই। হুঁশ হলে বুঝতে পারি আমার এক চোখ নেই।
জঙ্গীদের না ধরে ভিন্নমত দমনে ব্যস্ত সরকার
স্টাফ রিপোর্টার: জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ভিন্নমত দমনে সরকার ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত মুক্তচিন্তার সংহতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। গণজাগরণ মঞ্চ এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ থেকে জাগৃতির প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা ও শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদ রশীদ টুটুলসহ তিন ব্লগারকেকে হত্যাচেষ্টা কারীদের গ্রেফতারে সরকারকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে না পারলে আগামী ২০ নভেম্বর সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। ডা. ইমরান বলেন, মুক্তচিন্তার ওপর বারবার আঘাত করা হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে গ্রেফতার কিংবা বিচারের আওতায় আনতে পারেনি। এভাবে বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ধরেই নিয়েছে ভিন্নমতের কেউ থাকতে পারে না, ভিন্ন মতে থাকলেই তাকে হত্যা করা হবে।