স্টাফ রিপোর্টার: দেশ ও জাতির স্বার্থে জাতীয় সংলাপ তৈরি শুরুর পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর দেশ আজ এক সর্বগ্রাসী কর্ত্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থায় বিপর্যস্ত। দেশ আজ গভীর সঙ্কটেও নিপতিত। আজ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুজন সদস্য মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হয়েছেন। দুজন বিদেশির দু:খজনক ও মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর একজন প্রকাশকও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। খালেদা জিয়া এসব ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির করেন। তিনি বলেন, ঘরে বাইরে এখন কেউই নিরাপদ বোধ করছেন না। চারদিকে আতঙ্ক, উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ গোটা জাতিকে গ্রাস করেছে, যেন সামনে ঘোর অন্ধকার।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সরকার অবনতিশীল আইন পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাকেও কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে এভাবে একের পর এক কারাগারে বন্দী রাখার মধ্য দিয়ে সরকারের দুরভিসন্ধি রয়েছে। যখন আমরা সারাদেশে তৃণমূল পর্যায় থেকে কাউন্সিল করে দলকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি তার পরপরই সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়া অবিলম্বে দলের অসুস্থ ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এমকে আনোয়ার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, উপদেষ্টা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, বিএনপির যুগ্মমহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবীর রিজভী, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ দলের ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রেফতারকৃত কর্মী ও নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করেন।