বিদেশে পাঠানো ও চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা : সাড়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুরের ইসমাইল খান আবির বিদেশে পাঠানো ও বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেয়ার নাম করে এক মহিলার কাছ থেকে ১২লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী মানাবাধিকার সংগঠন আরডিসি ও রাইটস যশোর অফিসের দফতরে দেয়া অভিযোগপত্রে বলেছেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের আনসার আলী খানের ছেলে ইসমাইল খান আবির ঢাকায় বসবাসকারী মো. ওবাইদুল হকের স্ত্রী মনি বেগমের সাথে ধর্মআত্মীয় পাতিয়ে তার ছেলেকে বিদেশে ভাল চাকরি দেবে এবং তার স্বামীসহ অন্য দুজনকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নাম করে ১২লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় থাকার সুবাদে আবির আর্মির অফিসার পদে চাকরি করে এমন পরিচয় দিয়ে এসেছে এবং তার ভুয়া পরিচয়পত্র দেখিয়েছে। তার ছোট ভাই তারিক খান আর্মির সিগন্যাল কোরে চাকরি করে এ কথাও সে তাদেরকে জানিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারিক খান আর্মির সিগন্যাল ব্যাটালিয়নে ঢাকার কচুক্ষেতে চাকরি করে। বর্তমানে সে যশোর সিগন্যাল সেন্টারে একটি কোর্স প্রশিক্ষণ করছে। তারিক খানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে সে জানায়, আবির তার বড় ভাই, তার সাথে তার কোনো যোগাযোগ নেই। তবে টাকা পয়সা নেয়ার কথা সে পরে শুনেছে। এ বিষয়ে আবিরের বাড়েতে গেলে তার বাবা আনসার আলী খান জানান, তার ছেলে খারাপ প্রকৃতির হওয়ায় পরিবারের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। ঢাকা থেকে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ছেলে এবং যারা টাকা দিয়েছে তারাই এ বিষয়ে জানে। আমরা এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। তিনি আরো বলেন, আবির সৈয়দপুর এলাকায় বিয়ে করে সেখানে আছে। এর আগে গ্রামে একটি মেয়েকে বিয়ে করে ৪ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবু তালেব খান জানান, আবির ভালো ছেলে নয়। সে ঢাকায় কি করতো আমরা জানি না। ভুক্তভোগী মনি বেগম জানান, ঢাকার কচুক্ষেত এলাকায় একই বিল্ডিঙে আবির এবং আমরা থাকার কারণে তার সাথে আমাদের পরিবারের ধর্মআত্মীয় গড়ে ওঠে। সে আমার ছেলেকে বিদেশে পাটানো এবং আমার স্বামীকে সেনাবাহিনীর মধ্যে সিভিল চাকরি এবং কাইয়ুম ও কাউছার নামে দুজনকে সেনবাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিছুদিন পর আবির গা ঢাকা দেয়। বর্তমানে মনি বেগম পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আবিরের গ্রামের বাড়িতে সে একাধিকবার যায়। আবিরের পিতা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিতে চেয়েছে। কিন্তু মনি বেগম বলেন, আমার মতো অসহায় পরিবারের পক্ষে এতো টাকা ছাড় দেয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। বর্তমানে আবির বিভিন্নভাবে তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে তারা মহেশপুর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মনি বেগম সরকারের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।