বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের ভুলটিয়ায় একসন্তার জননী ছাবিনা খাতুন শ্বশুরবাড়ি থেকে ২২ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। ছাবিনার পরিবারের অভিযোগ মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছে। মেয়ের সন্ধান না পেয়ে ছাবিনাদের বাড়িতে চলছে চাপা কান্না।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের তিতুদহ দক্ষিণপাড়ার সব্বত আলীর স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ১৮ বছর আগে স্বামী দেয়াল চাপা পড়ে মারা যায়। অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে পরের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে মেয়ে ছাবিনাকে মানুষ করি। অভাব অনটনের সংসার হওয়ায় কোনো কিছু যাচাই-বাছাই না করেই ৭ বছর আগে মেয়েকে বিয়ে দেই কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুলটিয়া শেখপাড়ার তাকুবরের ছেলে নজির হকের সাথে। বিয়ের পরে জানতে পারি এর আগেও নজির ৫টি বিয়ে করেছে। অর্থাভাবে উপায়ান্তর না পেয়ে গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা সাহায্য তুলে দেই জামাই নজির হকের হাতে। তাতেও মন গলে না নজিরের। যৌতুকের জন্য প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন চালাতো মেয়ে ছাবিনার ওপর। গত কোরবানির ঈদের আগে এতো যন্ত্রণা সয়ে স্বামীর সংসার করবে না বলে চলে আসে বাড়িতে। এনিয়ে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ করলে চতুর নজির গ্রামের লোকজন ধরে মাসখানেক আগে ছাবিনাকে নিয়ে যায়। ২২ দিন আগে লোক মারফত জানতে পারি ছাবিনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মায়ের অভিযোগ নজির মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছে। ছাবিনার বৃদ্ধ নানী ছবেদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, পিতাহারা ছাবিনাকে পরের বাড়িতে কাজ করে মানুষ করেছি। এতিম মেয়েটাকে ওই নজির মেরে ফেলেছে। এর আগেও নজির ছাবিনাকে শারীরিক নির্যাতন করতো যা বর্ণনা করার মতো নয়। শুধু কোলের মেয়ে শিরিনার মুখ পানে চেয়ে শত কষ্টের মাঝেও স্বামীর সংসার করে আসছিলো। ছাবিনার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না চুয়াডাঙ্গায় গিয়ে প্রশাসনকে জানাবো সে ভাড়াটা পর্যন্ত জোগাড় করতে পারছি না। বিষয়টির প্রতি প্রশাসনসহ মানবধিকার সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেছে ছাবিনার অসহায় মা ও নানি। এ ব্যাপারে একাধিক বিয়ের নায়ক নজির হক বলেন আমি খোঁজাখুঁজি করছি।