স্টাফ রিপোর্টার: বেপরোয়া গতিতে ছুটতে গিয়ে ট্রাকের পেছনে ধাক্কা মেরে প্রাণ হারিয়েছে শ্যালোইঞ্জিনচালিত করিমনচালক মিয়ারুল ইসলাম (৩০)। আছড়ে পড়ে আহত হয়েছেন করিমনের দু আরোহী। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-দামুড়হুদা সড়কের ভিমরুল্লা বাঁকের গতিরোধকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত করিমনচালক দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বাড়াদী পূর্বপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। আহত দুজন একই গ্রামের। এরা হলেন- মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে জেকের আলী ও মৃত মস্তবারীর ছেলে আনছার আলী। জেকের আলী শ্যালোইঞ্জিন কেনার জন্য বাড়ি থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে মিয়ারুলের করিমনযোগে রওনা হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এরা অবশ্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, দামুড়হুদা থেকে চুয়াডাঙ্গা শহর অভিমুখে ছুটছিলো একটি ট্রাক। ট্রাকের পিছু পিছু ছুটছিলো শ্যালোইঞ্জিনচালিত করিমন। জেলাকারাগারের অদূরবর্তী ভিমরুল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকটস্থ গতিরোধকে ট্রাকচালক আকস্মিক ব্রেক করেন। পেছনে থাকা করিমনচালক মিয়ারুল ইসলাম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে মারেন ধাক্কা। মাথায় ও বুকে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে নিকটজনেরা গ্রাম থেকে ছুটে আসেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। গতকালই মৃতদেহ নিজ গ্রামে নিয়ে দাফনের প্রক্রিয়া করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিয়ারুল ইসলাম তার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম পুরুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন দু ছেলের জনক। বড় ছেলে হৃদয়ের বয়স ৭ বছর, আর ছোট ছেলে অন্তরের বয়স ৪ বছর। শিশু দু সন্তান নিয়ে স্ত্রী লাভলী কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? স্বামীকে হারিয়ে লাভলী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এদিকে দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলে বলেছেন, সড়কের বাঁকে যে গতিরোধক দেয়া হয়েছে দুর্ঘটনা রোধে, সেই গতিরোধকই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্ঘটনার কারণ।