স্টাফ রিপোর্টার: গোয়েন্দা পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে মারা গেছেন মাদক মামলার আসামি শহিদুল ইসলাম (৪৫)। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের অদূরবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটে। গোয়েন্দা পুলিশ অবশ্য বলেছে, মামলার আসামি হলেও তাকে ধরতে নয়, অন্য একটি কাজে সেখানে গেলে শহিদুল ইসলাম তার মদের ভ্রাম্যমাণ দোকান তথা বেঞ্চ থেকে উঠে সটকাতে গেলে পড়ে যায়। স্থানীয়রাই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। জরুরি ওয়ার্ডের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শহিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা বাগানপাড়ার জুলমত মণ্ডলের ছেলে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করলে নিকটজনেরা মৃতদেহ নিজ বাড়ি বাগানপাড়ায় নেয়। শুরু হয় দাফনের প্রস্তুতি। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পুরাতন কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর থেকে শহিদুলকে স্টেশনের অদূরবর্তী স্থানে বসে খোকনকে সাথে নিয়ে মাদকব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যেতো। ফার্মপাড়ার খোকনই মূলত ব্যবসার ধকল সামলায়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর খোকন ও শহিদুল ছিলো তাদের নির্দিষ্ট স্থানে। এমন সময় ডিবি লেখা জ্যাকেট পরা একদল গোয়েন্দা পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। খোকন ধরা পড়ে। পালানোর চেষ্টা করে শহিদুল ইসলাম। বেঞ্চ থেকে উঠে পালাতে গেলে পড়ে যায়। পুলিশ অবশ্য সেদিকে না তাকিয়ে ফিরে যায়। খোকনকে ছেড়ে দেয়। শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নেয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকসহ অনেকেরই ধারণা, শহিদুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার পরিবারের সদস্যরাও বলেছেন, শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলো। এর আগে দু দফা স্ট্রোকও করেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইব্রাহিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শহিদুল ইসলাম মাদক মামলার আসামি। সন্ধ্যায় তাকে ধরতে নয়, অন্য একটি কাজে স্টেশনের অদূরবর্তী বস্তির দিকে যাওয়ার সময় কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করে। একজন পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রাই হাসপাতালে নেয়। পরে শুনি ওই ব্যক্তি শহিদুল ইসলাম। যার বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। এসআই আমির আব্বাসও অভিন্ন তথ্য দিয়ে বলেছেন, কাউকে ধাওয়া করা হয়নি। ধরাও হয়নি। কেউ যদি আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তা হলে আমাদের আর কী বলার আছে বলুন!