দেশের টুকরো খবর

অ্যামনেস্টির মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানাবে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: আন্তর্জাতিক মানবাধিতার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে যে ‘ধৃষ্ঠতাপূর্ণ’ মন্তব্য করেছে, তার কড়া প্রতিবাদ জানাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, অ্যামনেস্টির মন্তব্যের প্রতিবাদে আমাদের যা করা দরকার, আমরা তার সবই করবো। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তব্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর মনযোগের সাথে স্টাডি করছে।

 

শুরুতেই প্রশ্ন- বাংলাদেশের রাস্তাগুলো কি ভারী ট্রাকের উপযুক্ত?

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ও ভারতসহ চারটি দেশের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে গতকাল রোববার থেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এর আওতায় ভারতের পণ্যবাহী যান- কোলকাতা থেকে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে ঢাকা বাইপাস হয়ে নরসিংদী হয়ে আগরতলা দিয়ে আবার ভারতে ঢুকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সড়কপথে পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী এ চারটি দেশের মধ্যে তিন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সড়কপথে পণ্য পরিবহনের জন্য কার্যত ট্রানজিট সুবিধা পাচ্ছে ভারত। কিন্তু প্রশ্ন রয়েছে যে বাংলাদেশের মহাসড়কগুলো কি অন্য দেশের ভারী পণ্যবাহী যান চলাচলের উপযুক্ত? এমনিতেই বাংলাদেশের মহাসড়কগুলোর বেহাল অবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে দিয়ে নিয়মিত চলাচল করেন সীমা হোসেন। তিনি বলেন, রাস্তা এতো খারাপ যে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়, এই বুঝি বাসটি কাত হয়ে পড়ে গেল। ঢাকা যশোর মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন মি. সৈকত। তিনি বলছিলেন, পাটুরিয়ার পর থেকে যশোর যাবার পথ পুরোটাই খারাপ। বাংলাদেশের বিভিন্ন মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে বাস চালাচ্ছেন আবুল কালাম। তার কথায়, মহাসড়কগুলোর ভাঙাচোরা অবস্থা, যানজট, বিশৃঙ্খলভাবে গাড়ি চলাচল- এসব কারণে রাস্তাগুলোতে যানবাহন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশ দিয়ে ভারতীয় ট্রাক চলাচলের উদ্বোধন হয় রোববার কোলকাতায় আর এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে- বাইরের দেশ থেকে আসা যানবাহনগুলোর চাপ কতোটা নিতে পারবে বাংলাদেশের মহাসড়কগুলো?

১০ কার্যদিবসে বিচার শেষ : রায় ৮ নভেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনায় মাত্র ১০ কার্যদিবসেই শেষ হয়েছে শিশু রাকিব (১২) হত্যা মামলার বিচার। রায় ঘোষণা করা হবে ৮ নভেম্বর রোববার। মামলাটি দায়ের করার দু মাস পাঁচ দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হলো। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মমিনুল ইসলাম জানান, গতকাল রোববার আদালতে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিলো। নির্ধারিত সময়ে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা রায়ের দিন ধার্য করেন। খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে মোটরসাইকেলের এক গ্যারেজে চলতি বছরের ৩ আগস্ট নির্যাতন করে রাকিবকে হত্যা করা হয়। ওই দিন বিকেলে মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া দেয়ার কাজে ব্যবহৃত কমপ্রেসর মেশিনের নল ঢুকিয়ে তার মলদ্বার দিয়ে বাতাস ঢোকালে রাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ওই দিন রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নগরের টুটপাড়া কবরখানার পাশের ওই গ্যারেজের মালিক শরীফ, তার সহযোগী মিন্টু এবং শরীফের মা বিউটি বেগমকে ক্ষুব্ধ জনতা পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনার পরদিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে ওই তিনজনকে আসামি করে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলাটি করেন। এরপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ৫ অক্টোবর বহু আলোচিত এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্কসহ বিচারিক সব কার্যক্রম শেষে আদালত ৮ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেন।

 

দিতির শারীরিক অবস্থার অবনতি

স্টাফ রিপোর্টার: অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মস্তিষ্কের টিউমার অপসারণ করা হয়েছিলো অভিনেত্রী দিতির। ভারতের চেন্নাইয়ে এক মাসেরও বেশিদিন চিকিৎসা শেষে ২০ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরেন তিনি। ভালোই চলছিলো। কিন্তু কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক সময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা। দিতি এখন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় দিতির। এ অবস্থায় তাকে আবারও ভারতে নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সমস্যা কিছুটা গুরুতর হওয়ায় দিতিকে দ্রুত স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শুক্রবার থেকে এখানে তার চিকিৎসা চলছে।