মহেশপুরের এরশাদ আলীকে সেগুনবাগানে গুলি করে খুন : লাশ উদ্ধার

মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের একটি সেগুনবাগান থেকে এরশাদ আলীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালমর্গে নেয়া হয়। এরশাদ আলী (৩৫) মহেশপুর ক্যাম্পপাড়ার জুব্বার আলীর ছেলে। তাকে কে বা কারা গুলি করে খুন করেছে তা নিশ্চিত করে জানা না গেলেও পুলিশ বলেছে, এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে মহেশপুর ও ঝিনাইদহ থানায় ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাঙের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হয়েছে। এলাকায় অবশ্য ক্রসফায়ার গুঞ্জন রটেছে। এক সূত্র বলেছে, তাকে জীবননগরের এক স্ত্রীর বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়।

জানা গেছে, কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কের পাশে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের নাজমুলের সেগুনবাগানে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। লাশের মাথায় গুলিবিদ্ধ ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ মহেশপুর থানায় নেয়ার পর পুলিশ তার পরিচয় পায়। এ তথ্য জানিয়ে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, এরশাদ আলী মহেশপুর ক্যাম্পপাড়ার জুব্বার আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মহেশপুরসহ বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা আছে।

জানা গেছে, গতপরশু শনিবার সন্ধ্যায় এরশাদ জীবননগর উপজেলায় ছোট স্ত্রীর বাড়িতে অবস্থান করছিলো। সেখান থেকে তাকে তুলে এনে গুলি করে খুন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মহেশপুর থানায় নিহতের বাবা জুব্বার আলী বাদী হয়ে একটি হত্যামামলা রজু করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরিদ জানান, মামলাটি তদন্তের পর হত্যার ক্লু সম্পর্কে জানা যাবে। উল্লেখ্য, নিহত এরশাদের ৪/৫টি বউ রয়েছে। এরমধ্যে বড় বউয়ের নাম স্বপ্না (৩০)। ইবাদত (১৩) ও এশারত (৮) নামে তার দুটি ছেলে আছে। তাদেরকে মহেশপুর থানায় কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে।