পুঁচকে ভিয়ানোভেন্সে ‘ধরা’ বার্সেলোনা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দেখুন তো, নামগুলো চিনতে পারেন কি-না-জেরার্ড গাম্বাউ, উইলফ্রিড কাপতুম, আইতর কান্তালাপিয়েদ্রা? ভ্রু কুঁচকে যাচ্ছে? এদের মধ্যে প্রথম দুজন কাল ভিয়ানোভেন্সের মাঠে বার্সেলোনার জার্সিতে ম্যাচের শুরু থেকেই ছিলেন, অন্যজন নেমেছেন ৬৪ মিনিটের সময়। যুব প্রকল্পের এই খেলোয়াড়দের সাথে কাতালান দলে অনিয়মিত মুখ ছিলেন আরও অনেক। এতেই সর্বনাশটা হলো। এবারের কোপা দেল রে-তে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই তৃতীয় বিভাগের দলটির সাথে গোলশূন্য ড্র করলো বার্সা।

     মেসি-ইনিয়েস্তা তো চোটে নেই অনেক দিন ধরেই, কোচ লুইস এনরিকে এ ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছিলেন নেইমার-সুয়ারেজসহ দলের সব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের। যুব প্রকল্পের কয়েকজন খেলোয়াড়ের সাথে ভারমেইলেন-আদ্রিয়ানোর মতো অনিয়মিতদের সুযোগ করে দিয়েছিলেন ‘পুঁচকে’ দলটির বিপক্ষে। কিন্তু তাঁরা সে সুযোগ নিতে পারলেন কই! বার্সেলোনা ‘বি’ দলের সমপর্যায়ের ভিয়ানোভেন্স কিন্তু কাল বার্সেলোনার সাথে খুব একটা খারাপ করেনি। পুরো খেলাতেই যেখানে সুযোগ খুব কম তৈরি হয়েছে, সেখানে ভিয়ানোভেন্স কিন্তু গোল করে স্তব্ধ করে দিতে পারতো ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নদের। প্রথমার্ধের ঠিক আগ দিয়ে ভিক্টর কালাত্রাভার ফ্লিক বার পোস্টে হাওয়া লাগিয়ে বাইরে চলে যায়। তৃতীয় বিভাগের এই দলের বিপক্ষে গোলহীন ড্রয়েও নাকি ‘খুশি’ লুইস এনরিকে। বার্সেলোনা কোচ ম্যাচে শেষে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আমার মনে হয় এই ম্যাচে আমরা সঠিক মনোভাব নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। মাঠে আমার দল যা খেলেছে, তাতে আমি সত্যিই খুশি।’ মুখে ‘খুশি’র কথাটা বললেও তার বক্তব্যে কিন্তু জয়ের জন্য হাপিত্যেশ চলে এলোই, আমরা জিততে চেয়েছিলাম। জিততে চাওয়াটাই স্বাভাবিক। কয়েকটি গোলের সুযোগও পেয়েছিলাম। যদিও সেই সুযোগগুলোকে সুবর্ণ সুযোগ বলা চলে না। ভিয়ানোভেন্সের অধিনায়ক অ্যাঙ্গেল পাজোয়েলো দারুণ গর্বিত তাঁর দলের খেলায়। ইউরোপের অন্যতম সেরা বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলা অমীমাংসিত রাখাকে ‘স্বপ্ন সত্যি হওয়া’ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন তিনি, সত্যিই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আমাদের। লা লিগা আর তৃতীয় বিভাগের দুটি দলের শক্তির পার্থক্য অনেক। তারপরেও এ ম্যাচে আমরা নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করেই খেলেছি। আমি সত্যিই এই ফলে দারুণ খুশি। প্রথম লেগ ড্র করে ন্যু ক্যাম্পের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটাতেও লড়ার অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন পাজোয়েলো। এই মুহূর্তে তার লক্ষ্য সেটিই, আমাদের এই মুহূর্তের লক্ষ্য ন্যু ক্যাম্পে গিয়েও একই ধরনের ফুটবল খেলা এবং বার্সেলোনাকে সমস্যায় ফেলা।