মেহেরপুরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড : যুবক খুনের ঘটনায় গাংনীর একজনের ৫ বছর জেল

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের আমেনা খাতুন হত্যা মামলায় স্বামী জুলফিকার আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অপরদিকে গাংনী উপজেলার রামনগনর গ্রামের নাছিরউদ্দীন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আলিমের পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দুটি মামলার রায় ঘোষণা করেন স্ব স্ব আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, আমঝুপি গ্রামের জুলফিকার আলী ২০০৩ সালের ২৫ এপ্রিল মধ্যরাতে স্ত্রী আমেনা খাতুনকে গলাকেটে হত্যা করে বাড়ির অদূরবর্তী মাঠের একটি আমবাগানে ফেলে রাখে। আমেনার পিতা একই গ্রামের আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে স্বামীসহ তার পরিবারের পাঁচজনের নামে পরদিন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল আলম তদন্ত করে চার আসামিকে বাদ দিয়ে আমেনার স্বামীর নামে চার্জশিট প্রদান করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. রবিউল হাসান। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পল্লব ভট্টাচার্য।

অপরদিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামে দু পক্ষের সংঘর্ষে নাছিরউদ্দীন নামের এক যুবক নিহত হন। পরদিন নিহতের পিতা আনারুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের আব্দুল আলিমকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নামে গাংনী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গাংনী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চার্জশিট দিলে ২০১১ সালের ২৫ এপ্রিল চার্জ গঠন করেন আদালত। ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ওই মামলার রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক টিএম মুসা। বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস দেন আদালত।