স্টাফ রিপোর্টার: বাল্যবিয়ের শিকার হলো জেএসসি পরিক্ষার্থী শারমিন নাহার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পারিবারিকভাবেই তার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তাও আবার দেনমোহর ধার্য করা হয় নগদ ৫ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গার পারলক্ষ্মীপুরে গ্রামে।
এলাকাবাসী জানায়, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়েনের পারলক্ষ্মীপুর গ্রামের বিল্লাল গণির মেয়ে শারমিন নাহারের এবার আঁইলহাস লক্ষ্মীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা। অথচ গতকাল তার বিয়ে হয়ে গেছে। বাল্যবিয়ে পড়ান পারলক্ষ্মীপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল মজিদ ও তিতুদহ ইউনিয়নের কাজি মোমতাজুল ইসলাম স্বাধীন। তারা লুজ ভলিয়মে বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রি করেন বলে জানা গেছে।
গ্রামের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আলমডাঙ্গার পারলক্ষ্মীপুর গ্রামের বিল্লাল গণির মেয়ে শারমিন নাহার (১৪) বিয়ে ঠিক হয় ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামের আব্দুল মুতালিবের ছেলে মোবারক হুসানের (১৮) সাথে। বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে নগদ ৫ হাজার টাকা। গতকাল বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সারজুর ইসলাম বলেন, মেয়ের বয়স না হলেও আগামীকাল (আজ শুক্রবার) জন্ম নিবন্ধন করে দেবে চেয়ারম্যান রুন্নু। স্বাধীন কাজির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ওই বিয়ে পড়াতে যাইনি। বিয়ে পড়িয়েছেন খাসকররার মুনজুর কাজি। তার ভলিয়মেই রেজিস্ট্রি করেছেন। কাজি মুনজুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান রুন্নুর অনুরোধে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। আমি ফরম পূরণ করি আর বিয়ে পড়িয়েছেন কাবিলনগর মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ। স্বাধীন কাজি উপিস্থিত ছিলেন তিনিই ফরম দিয়েছিলেন। খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রুন্নুর সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাথাভাঙ্গাকে জানান, শারমিন নাহার জেএসসি পরিক্ষার্থী এ কথা ঠিক নয় সে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবে বলে আমি শুনেছি। তাছাড়া আমি ওই বিয়েতে উপস্থিত ছিলাম না।