হাসেম রেজা: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় ডাক বিভাগের কার্যক্রমে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। উপজেলার ২টি পোস্ট অফিসের কোনো দফতর নেই। এ দুটি পোস্ট অফিসের কার্যক্রম কার্পাসডাঙ্গার মাছ বাজারের পোস্ট অফিসটি চলে ফার্মেসির দোকানে ও কুড়ুলগাছি পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চলে জরাজীর্ণ একটি বাড়িতে। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের যুগেও পোস্ট অফিসগুলোতে ইলেকট্রনিক্স মানি অর্ডার, ক্যাশ কার্ড, সেভিংস ব্যাংকিং, রেজি. পার্সেল, বীমাসহ আধুনিক পরিসেবা চালু না হওয়ায় কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ুলগাছির ডাক বিভাগের সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী।
মানুষের দোরগোড়ায় ডাক বিভাগের সেবা পৌঁছে দিতে ২টি পোস্ট অফিস চালু রয়েছে। একটি চিঠি বিলি হতে দু সপ্তাহ সময় লাগে। মানি অর্ডার তিন মাসেও বিলি হয় না। পোস্ট অফিসের অস্তিত্ব ডাক বিভাগের একটি বাক্স বহন করছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ব্রিটিশ আমলের জরাজীর্ণ ঘরের ভাঙা জানালার সাথে ডাক বিভাগের একটি চিঠির বাক্স কুড়ুলগাছি পোস্ট অফিসের অস্তিত্ব বহন করছে। ঘরের এক পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। অন্য পাশে প্রস্রাবের খোলা জায়গা। সাংবাদিক দেখে স্থানীয় আ. মজিদ, আশা, মান্নানসহ অনেকেই এগিয়ে আসেন। ভাঙা ঘরে ঝুলিয়ে রাখা পোস্ট বক্স দেখিয়ে তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বসার জায়গা পর্যন্ত নেই বর্ষার সময় পানি পড়ে এবং ব্রিটিশ আমলের ঘর হয়ায় যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। এদিকে কার্পাসডাঙ্গা বাজারে পোস্ট অফিস ঘর ও জমি বেদখলে চলে যাওয়ার পর একটি ফার্মেসির দোকানে কার্যক্রম চলে। এখানে একটি পোস্ট বাক্স আছে ফার্মেসির পাশে। মাঝে মধ্যে পোস্ট অফিসের অস্তিত্বই পাওয়া যায় না। চুয়াডাঙ্গা জেলা পোস্ট অফিসের পরিদর্শক শাম গোলাম হোসেন জানান, এসব পোস্ট অফিসের অবস্থা করুণ আমারা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় পোস্ট অফিসের কাজ হচ্ছে, কুড়ুলগাছি পোস্ট অফিসের নতুন ভবনের কাজ আগামী বছর হবে বলে আশা করি। অপরদিকে কার্পাসডাঙ্গায় পোস্ট অফিসের নিজস্ব জমি না থাকায় একটু জটিলতা আছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পোস্ট মাস্টার লুৎফার রহমান খান জানান, অফিসের কর্মচারিদের যে বেতন দেয়া হয় তা অমানবিক। প্রতি মাসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ দুরস্থতা দেখে যাচ্ছেন। তারপরও কিছু হচ্ছে না।