ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: সড়কগুলো যে কতোটা রাক্ষসরূপী হয়ে উঠেছে তা নিরাপদ সড়ক দিবসে দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান দেখলেই অনুমান করা যায়। প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। অথচ সড়ক নিরাপদ করার মতো বাস্তবমুখি পদক্ষেপের বড়ই অভাব। বাসের ধাক্কায় ঝরে যাওয়া স্কুলছাত্র রাব্বির মৃতদেহ গতকাল শুক্রবার সকালে তার নিজ গ্রাম চুয়াডাঙ্গার সুবদিয়ায় দাফনের সময় অধিকাংশের মুখেই ছিলো নিরাপদ সড়ক প্রসঙ্গ।
গত পরশু বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের সুবদিয়ায় বাসের ধাক্কায় নিহত হয় সুবদিয়া পাঁচমাইল বাজারপাড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে ৫ম শ্রেণির ছাত্র রাব্বি। সে সাংবাদিক জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামের জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। নামাজে জানাজায় শরিক হন পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মণ্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাসসহ এলাকার কয়েকশ মুসল্লি। সাংবাদিক জিয়ার ভাগ্নের অপমৃত্যুর খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুনউজ্জামান শোকার্ত পরিবারের মাঝে উপস্থিত হন। তিনি নিহত রাব্বির পিতা-মাতা ও স্বজনদের সাথে দেখা করেন, সান্ত্বনা দেন এবং সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, গত পরশু বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সরোজগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের চুয়াডাঙ্গা সদরের নতুন ভাণ্ডারদহ মোড়ে বাস দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র রাব্বি নিহত হয়।