দুর্বৃত্তের নিক্ষিপ্ত দাহ্যপদার্থসহ আগুনে পুড়ে মারা গেছেন মা ও তার দেড় বছর বয়সী শিশুসন্তান। রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের পল্লি ফরাশপুরে। বড় মেয়ের সাথে জামাইয়ের দাম্পত্য টানাপোড়েনের এক পর্যায়ে জামাই হুমকি দেয়। এরপরই ঘরে আগুন নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জামাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
রাতের আঁধারে জানালা দিয়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর পেট্রোল ছুড়ে আগুন দিয়ে দুজনকে হত্যার ঘটনাটি যেকোনো বিবেকবান মানুষের পীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশ্যই ওই ঘটনাটি দিয়ে সমাজের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করা যায় না, বলা যায় না যে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। তবে দুর্বৃত্ত ধরে আইনে সোপর্দ করতে না পারলে সমাজের পরিস্থিতি যে অস্বাভাবিকের দিকে যাবে তা বলাই বাহুল্য। অপরাধী অপরাধ করে পার পেলে যেমন সমাজে অপরাধ প্রবণতা ছড়ায়, তেমনই নির্দোষ কেউ হয়রানি হলে আইনের প্রতি আস্থাহীনতা বৃদ্ধি পায়। সে কারণেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের প্রকৃত দোষীকে ধরতে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হওয়াটাও অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যে বা যারাই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়েছে তাকে বা তাদের অবিলম্বে শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক আইনে সোপর্দ করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে পারলে ওই ধরনের মানুষরূপী অমানুষগুলোর মনুষত্ববোধ ভয়ে হলেও জেগে উঠবে। দুর্বৃত্ত যতোই ধুর্ত হোক, থাকুক ক্ষমতার ছত্রছায়ায়, তাকে আইনে সোপর্দ করতেই হবে। সমাজের স্বার্থেই এটা দ্রুত নিশ্চিত করা দরকার।