মাথাভাঙ্গা মনিটর: রাজনৈতিক অন্ধত্ব, গোঁড়ামির শিকার হলো অন্ধদের ক্রিকেট। ভারতে চলমান উত্তেজনার কারণে আগামী জানুয়ারিতে দেশটি সফর না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান অন্ধ ক্রিকেট দল। ওই মাসে ভারতে অন্ধদের এশিয়া কাপ হওয়ার কথা। চলমান উত্তেজনার কারণে দু প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক যখন আরও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে, সেই সময় পাকিস্তান অন্ধ দলের ভারত সফর বাতিলে এ প্রশ্ন উঠেছে, এর প্রভাব কি আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পড়বে?
ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারতের রাজনীতি। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ উসকে দিয়ে ভোট টানার কৌশলের কারণেই এমন বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। শিবসেনার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে হামলে পড়া তারই অংশ। কারণ যা-ই হোক না কেন, ওই ঘটনার পর এরই মধ্যে ভারত থেকে পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দারকে সরিয়ে নিয়েছে আইসিসি। চলে যাচ্ছেন দু পাকিস্তানি ধারাভাষ্যকার ওয়াসিম আকরাম আর শোয়েব আখতারও। এরপরই শোনা গেল অন্ধদের এশিয়া কাপ থেকে পাকিস্তান দলের নাম প্রত্যাহারের খবর। পাকিস্তানের অন্ধ ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান সৈয়দ শাহ সুলতান বলেছেন, ভারতের মাটিতে পাকিস্তান ও পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যে বিরূপ মনোভাব দেখা যাচ্ছে, তাতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। আমাদের কাছে দলের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার ব্যাপারটিই সবচেয়ে আগে।
এ নিরাপত্তার কারণেই ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পাকিস্তান অংশ নেবে কি-না, সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হলো। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ আইসিসিও। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান হয়তো শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও বয়কট করতে পারে।