আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা প্রাগপুরের ধর্ষণের শিকার ৩য় শ্রেণির ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে। এ ঘটনায় আটক প্রেমিক ও তার এক বন্ধুকে ধর্ষণ মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রাগপুর গ্রামের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী অভিযোগ করে জানিয়েছে, প্রায় ৭ মাস আগে তার একই গ্রামের আহার আলীর ছেলে ৮ম শ্রেণির ছাত্র রানার সাথে প্রেমসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্কের কথা পিতা-মাতা জানতে পেরে তাকে বকাঝকা করলে তাদের সে প্রেমে ছেদ পড়ে। এ ঘটনার ৪ মাস পর গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে রানা তার স্কুলের সামনে গিয়ে ডাক দেয়। তার ডাকে সাড়া দিয়ে রানার নিকটে গেলে সে একটি মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গার দিকে নিয়ে যায়। নতুনপাড়া ব্রিজের নিকট নিয়ে ৫ জন কিশোরের হাতে স্কুলছাত্রীকে তুলে দেয়। সেই ৫ কিশোর তাকে চোখ বেঁধে মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এদিকে স্কুলছাত্রীর পিতা দুপুরে বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজতে বের হন। না পেয়ে ওসমানপুর-প্রাগপুর ফাঁড়ি পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পুলিশ স্কুলছাত্রীর বাড়ি থেকে তার কাছে লেখা একই রানার কয়েকটি চিঠি উদ্ধার করে। চিঠির সূত্র ধরে রানা ও তার পিতা আহার আলীকে ফাঁড়িতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে পুলিশ। রানা ও তার পিতাকে মারছে বিকেলে মোবাইলফোনে এমন সংবাদ জানতে পেরে ধর্ষক কিশোরেরা তাকে ছেড়ে দেয় বলে ওই ছাত্রী জানায়। পরে পুলিশ রানা ও তার বন্ধু একই গ্রামের হক আলীর ছেলে সাগরকে আটক করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে যায়। স্কুলছাত্রীকেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটক কিশোর রানা ও সাগর তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে। ওই রাতে এ এসপি সার্কেল আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর বলেছেন, গতকাল সকালে স্কুলছাত্রীর পিতা আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি হাসপাতালে নেয়া হয় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য। সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিললে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য নেয়া হয় আদালতে। গতকাল বুধবার আটক প্রেমিক রানা ও তার বন্ধু সাগরকে ধর্ষণ মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।