আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ওসমানপুর-প্রাগপুরে চাঁদাবাজচক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দিনের বেলা ২০ হাজার টাকা চাঁদার দাবিতে গ্রাগপুর বাজারে রাইচমিল মিস্ত্রি মিজানকে পিটিয়ে ও হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় গ্যাংগ্রুপ নেতা জব্বার ও ফারুক। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মোটরসাইকেল ফেলেই পালিয়ে যায় চাঁদাবাজ ফারুক। পুলিশ তার মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান (৩২) পার্শ্ববর্তী প্রাগপুর বাজারের আলাউদ্দীন মাস্টারের রাইচমিলের মিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত। অন্যান্য দিনের মতো তিনি গতকাল শুক্রবার সকালে ওই রাইচমিলে কাজ করতে যান। সকাল ১০টার দিকে প্রাগপুর গ্রামের রাহেন মণ্ডেলের ছেলে আব্দুল জব্বার ওই মিলে গিয়ে মিস্ত্রি মিজানের নিকট ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিসের টাকা মিজান জব্বারকে জিজ্ঞেস করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে জব্বার পালটা প্রশ্ন করে টাকা কিসের হয় জানিস না? তারপর মিজানকে বলে, ১ ঘণ্টার মধ্যে টাকা না দিলে মিল বন্ধ করে চলে যাবি। না হলে মেরে ফেলবো। এ কথায় আতঙ্কিত হয়ে মিল বন্ধ করে বাড়ি চলে যাওয়ার সময় এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে তাকে আশ্বস্ত করে বলে, জব্বার মদ খেয়ে কি বলেছে না বলেছে তার ঠিক নেই। তুমি মিল বন্ধ না করে কাজ করো। নেতার ছেলের আশ্বাসে পুনরায় মিলে কাজ শুরু করলে প্রাগপুরের চায়েন পিরিনির ছেলে জব্বারের সহযোগী ফারুক (৩২) মিলে ছুটে গিয়ে মিস্ত্রি মিজানকে বেধড়ক পেটায়। এ সময় ফারুক জব্বারকে জবাই করার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। মিজান এ ঘটনা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে জানালে পুলিশ ফাঁড়ির আইসি দরবেশ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে চাঁদাবাজ জব্বার ও ফারুক পালিয়ে যায়। পালানোর সময় ফারুক তার মোটরসাইকেল ফেলে যায়। পুলিশ মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে মিলমিস্ত্রি মিজান আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।