ফলোআপ : মুক্তিযোদ্ধা অনুসন্ধানদলকে তথ্য দিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় গবরগাড়ার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত ডাক্তারের পরিবার : থানায় জিডি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গবরগাড়ার রাজাকার জলিল শিকদার ও সাঙ্গপাঙ্গদের অপকর্ম বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনুসন্ধানদলকে তথ্য দেয়ায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত ডাক্তারের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় শাহাদত ডাক্তারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

সাধারণ ডায়েরিতে আব্দুর রাজ্জাক উল্লেখ করেছেন, জলিল শিকদার ও তার ছেলে আব্দুল মান্নান গত ১৩ অক্টোবর সকাল অনুমান ৬টার দিকে তার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে বলেছে, আমি রাজাকার ছিলাম সেই তথ্য তুই কেন মুক্তিযোদ্ধা টিমকে দিয়েছিস। এ কথা বলে বিভিন্ন প্রকার হুমকিধামকি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোস্তফা খানসহ জেলা ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একটি প্রতিনিধিদল গবরগাড়ায় গিয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত ডাক্তারের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। শাহাদত ডাক্তারের সেজ ছেলে আব্দুর রাজ্জাক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিদলকে জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গ্রামের তাহের আলীর বাড়িতে গ্রামবাসীদের নিয়ে বাবা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বৈঠক করছিলেন। বৈঠক চলাকালে রাজাকার জলিল শিকদার ও আনসার আলী স্বদলবলে তার সামনেই বাবা শাহাদত ডাক্তারকে নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালে রাজাকার জলিল শিকদারের ভূমিকা নিয়ে গত রোববার দৈনিক মাথাভাঙ্গায় সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা বিষয়টি নিয়ে ওইদিন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক ও জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির সাথে কথা বলেন। মন্ত্রী ও হুইপ প্রকাশিত খবরসহ কাগজটি সংগ্রহে রাখেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেন।

 

Leave a comment