দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় মতিয়ার রহমান (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে জনগণ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও শেষমেশ মুচলেকা দিয়ে এ দফায় মুক্তি মিলেছে। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
স্থানীয়রা বলেছে, গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে রশিদ ছাপিয়ে মসজিদের টাকা সংগ্রহের জন্য দামুড়হুদা বাজারে হাজির হন ওই ব্যক্তি। বয়স এবং মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করায় অনেকের সন্দেহ হয়। জনগণ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমারী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিচয়দানকারী দু ব্যক্তি তাকে থানা থেকে জিম্মায় মুক্ত করেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মতিয়ার রহমান গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা বাজারে গিয়ে আলমডাঙ্গা ইসলামপুর রাস্তাপাড়া জামে মসজিদের নামে টাকা কালেকশন করছিলেন। এ সময় কয়েক দোকানি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দেন এবং পকেট থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র বের করে দেখান। পরিচয়পত্রটি যাচাই-বাছাই করে দেখে ভুয়া সন্দেহ হলে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলায় দোকানিরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রানা নামের এক ব্যক্তি নিজেকে কুমারী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি এবং আ. রাজ্জাক নামের একব্যক্তি নিজেকে কুমারী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারাণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে তাকে থানা থেকে তাদের জিম্মায় ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি লিয়াকত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জনতার হাতে আটক মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তিকে মানবিক কারণে এ দফায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।