দামুড়হুদার জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গভীর রাতে মুখোশ পরিহিত দুর্বৃত্তদের হানা : নৈশপ্রহরী ছানোয়ারকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গভীর রাতে মুখোশ পরিহিত ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ছানোয়ারকে (৪০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। জখম নৈশপ্রহরী ছানোয়ার জয়রামপুর হাজিপাড়ার মৃত উম্বাত আলীর ছেলে। দুর্বৃত্তরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ৩টি আলমারি ভেঙে তছনছ করেছে। নিয়ে গেছে ড্রয়ারে থাকা সাড়ে ৬ হাজার টাকা। এছাড়া একই সময় ওই দুর্বৃত্তরা জয়রামপুর কলোনিপাড়ার কাশেমের ছেলে বাবুকে স্কুলের পাশেই পথরোধ করে একটি মোবাইলফোন ও আড়াই হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। গত শনিবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর হাজিপাড়ার মৃত উম্বাত আলীর ছেলে জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ছানোয়ার হোসেন গত শনিবার রাতে স্কুলের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মুখোশ পরিহিত ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং অফিসে থাকা ৩টি আলমারি ভেঙে সমস্ত কাগজপত্র তছনছ করে। নৈশপ্রহরী ছানোয়ার বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে। দুর্বৃত্তরা এ সময় নৈশপ্রহরীর ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং তাকে ধারালো অন্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা টের পেয়ে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। দুর্বৃত্তরা ওই ঘটনার ঠিক আগ মুহূর্তে রাত আড়াইটার দিকে জয়রামপুর কলোনিপাড়ার কাশেমের ছেলে বাবুকে স্কুলের সামনে পথরোধ করে দুটি মোবাইলফোন ও আড়াই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ওই রাতে বাবু ঢাকা থেকে পূর্বাশা পরিবহনযোগে জয়রামপুর কাঁঠালতলায় নেমে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ বিষয়ে জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আয়ুব আলী স্বপন জানান, আহত নৈশপ্রহরী ছানোয়ার হামলাকারীদের কয়েকজনকে চিনতে পেরেছে। জয়রামপুর হাজিপাড়ার রাজ্জাক ড্রাইভারের ছেলে রাজু (২৫) ও তার চাচা বালু তাদের গ্যাংগ্রুপ নিয়ে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমকিভাবে জানা গেছে। তাছাড়া রাজু এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে দা হাতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার কাছে বেশ কয়েকটি ছিপ দা ও কয়েকটি ডাসা আছে বলেও জানা গেছে। বিষয়টি কয়েকদিন আগে পুলিশকে জানালেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে ওই দা উদ্ধার করেনি।

এদিকে এ ঘটনা পেছনে অভিযুক্ত রাজুর চাচাতো বোন এবং ছানোয়ারের ভাইয়ের ছেলেকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার দু পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং রাজু ছানোয়ারের ভাইয়ের ছেলেকে মারধর করে। এ ঘটনায় ছানোয়ার প্রতিবাদ করলে রাজু তাকে দেখে নেয়ার হুমকিও দেয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এ ঘটনায় আহত ছানোয়ারের ভাই আনোয়ার বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় মামলা করেছেন বলে জানা গেলেও পুলিশ বলেছে এখনও মামলা হয়নি।