মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: কিশোরী স্বাস্থ্য তথ্য সরবরাহ ও নিরাপদ মাতৃত্ব অর্জনের লক্ষ্যে চ্যানেল আই’র বিশেষ সচেতনতামূলক প্রকল্পের আওতায় জেলা ভিত্তিক কর্যাক্রমের অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে ‘স্বর্ণ-কিশোরী’ অনুষ্ঠানের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী আনিকা আনজুম প্রমাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার সেরা স্বর্ণ-কিশোরী নির্বাচিত করা হয়। মেহেরপুরে নির্বাচিত ৫ জনের উপস্থিত বক্তব্যের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জিন্নাত আরা জিনিয়াকে সেরা স্বর্ণ-কিশোরী নির্বাচিত করা হয়।
গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চা বিদ্যালয়মাঠে স্বর্ণ-কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিইও ফারজানা ব্রাউনিয়ার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ও সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল হক। অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুন নাহার, চ্যানেল আইয়ের জেলা প্রতিনিধি রাজীব হাসান কচি ও সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার রবজেল হক। এর আগে ফারজানা ব্রাউনিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে এসে পৌঁছুলে মেয়েরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানায়। পরে কৈশর বান্ধব শিক্ষা বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের ৭শ ছাত্রী ২০ মার্কের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এখান থেকে ৫ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়। এ ৫ জনের মধ্য থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রী আনিকা আনজুম প্রমাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার সেরা স্বর্ণ-কিশোরী নির্বাচিত করা হয়। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ২০১৪ সালের দেশ সেরা স্বর্ণ-কিশোরী মোনামি মেহনাজ।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, গতকাল শনিবার বিকেলে মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খাইরুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুল হক, ডিআই ওয়ান সোলেমান হক। বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রওশন নাহার, চ্যানেল আই’র মেহেরপুর প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা, ২০১৪’র স্বর্ণ-কিশোরী মনামি প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন স্বর্ণ-কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিইও এবং চ্যানেল আই’র ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডে’র উপ-মহাব্যবস্থাপক ফারজানা ব্রাউনিয়া। অনুষ্ঠানের শুরুতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের দু শতাধিক ছাত্রীকে ২০ নম্বরের পরীক্ষার মাধ্যমে ৫ জন স্বর্ণ-কিশোরীকে বাছাই করা হয়। নির্বাচিত ৫ জনের উপস্থিত বক্তব্যের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জিন্নাত আরা জিনিয়াকে সেরা স্বর্ণ-কিশোরী নির্বাচিত করা হয়। বক্তারা জানান, এ স্বর্ণ-কিশোরীরাই প্রশিক্ষণ শেষে যার যার অবস্থান থেকে দেশব্যাপি তথ্যবহুল একটি নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে সকল কিশোরীদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ মাতৃত্ব এবং কিশোরী স্বাস্থ্য তথ্য সরবারাহ সম্পর্কে শিক্ষিত, সচেতন ও আলোকিত করে তুলবে, যার মাধ্যমে দেশব্যাপি গড়ে উঠবে শক্তিশালী স্বর্ণ-কিশোরী নেটওয়ার্ক। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি স্বর্ণ-কিশোরী পতাকা উত্তোলন করেন।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই, স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, দাতা গোষ্ঠী ও প্রকল্প পাটনারের সহযোগিতায় বিগত ২০১৪ সাল থেকে কিশোরী বয়ঃসন্ধি স্বাস্থ্য ও নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়ক নির্দেশনা ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশব্যাপি স্বাস্থ্য সচেতনামূলক কর্মসূচি শুরু হয়েছে।