ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে ফেসবুকে মেয়ে সেজে বন্ধু বানিয়ে মুক্তিপণের দাবিতে কলেজছাত্র অপহরণের ঘটনায় ৪ যুবককে আটক ও অপহৃত কলেজছাত্র আল ইমরানকে উদ্ধার করেছে ৱ্যাব। এ সময় অপহরণকারীদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও ৪টি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। কলেজছাত্র আল ইমরান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের উসমান গনির ছেলে ও সরকারি কেসি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
আটককৃতরা হলো চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পলাশপাড়ার মোন্তাজ আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মিল্টন, পার্শ্ববর্তী শান্তিপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে মামুন অর রশিদ, পলাশপাড়ার আব্দুল গণির ছেলে আমির হোসেন ও একই পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে তৌফিক আহম্মেদ ইরান। এদেরকে গতপরশু আটকের পর গতকাল ঝিনাইদহ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ঝিনাইদহ ৱ্যাব-৬’র কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সুরুজ মিয়া গতকাল শনিবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের পলাশপাড়ার মোন্তাজ আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মিল্টন একটি মেয়ের ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে আইডি খোলে। সে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের উসমান গনির কলেজপড়ুয়া ছেলে আল ইমরানের সাথে ফেসবুকে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। মিল্টন নিজেকে আড়াল করে মিম নামের তার এক বান্ধবীকে দিয়ে ইমরানের সাথে মোবাইলফোনে কথা বলে প্রেমসম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ৬ অক্টোবর মিম নামের ওই মেয়েকে দিয়ে ইমরানকে ফোন করে ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজের সামনে দেখা করতে বলে। ওই দিন দুপুর দেড়টার দিকে ইমরান সেখানে পৌঁছুলে মিল্টন ও তার বন্ধুরা তাকে অপহরণ করে চুয়াডাঙ্গায় নেয়। এরপর তারা ইমরানকে দিয়ে তার পিতার কাছে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ইমরানের পিতা ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় অপহৃতের পিতা ঝিনাইদহ সদর থানায় সাধারণ ডাইরি করে ৱ্যাবকে বিষয়টি জানায়। ৱ্যাব অভিযান শুরু করলে ৬ অক্টোবর রাতেই ইমরানকে অপহরণকারীচক্র ছেড়ে দেয় এবং ৱ্যাব গত শুক্রবার রাতে বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে চুয়াডাঙ্গার শান্তিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী ৪ যুবককে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।