আলমডাঙ্গা ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের খয়েরহুদা গ্রামের ভুয়া মেজর বোরহান সিদ্দিকী এবার হেরোইনসহ আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের খাঁচায়। গতকাল শনিবার দুপুরে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে এসআই টিপু সুলতান তাকে ২০ পুরিয়া হেরোইনসহ আটক করেছেন। এ সময় আরও ২ অজ্ঞাত হেরোইনখোর রেলস্টেশনের নিচের পুকুরের পানি সাঁতরে পালিয়ে বাঁচে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা থানার এসআই টিপু সুলতান গতকাল শনিবার দুপুরে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের প্ল্যাটফরমে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় হেরোইন সেবনরত অবস্থায় জীবননগর উপজেলার খয়েরহুদা গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে বোরহান সিদ্দিকীকে (৪৪) আটক করেন। পুলিশ তার নিকট থেকে ২৫ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করে। একই অভিযান পরিচালনাকালে অজ্ঞাত আরও দুজন হেরোইনখোর রেলস্টেশনের নিচের পুকুরের পানি সাঁতরে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
আটক বোরহানের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় ইতঃপূর্বেও মামলা রয়েছে। আলমডাঙ্গার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী সপুর সাথে তিনি আটক হয়ে প্রায় ১১ মাস এক সাথে জেলহাজতে ছিলেন বলে নিজেই জানান। এছাড়া প্রায় দেড় বছর আগে তিনি দামুড়হুদায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির জিএম’র নিকট নিজেকে আর্মির মেজর পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে আখের পুর্জি সংগ্রহ করতেন। এক পর্যায়ে পূর্ব পরিচিত কেরু ইনচার্জ তাকে চিনে ফেলেন। তিনি ধরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ সকল কথা অকপটে স্বীকার করেন তিনি। এখনো সে মামলা চলছে বলে তিনি জানান। দর্শনা-জীবননগর মাদকের ডিপো ছেড়ে আলমডাঙ্গায় কেন মাদক সেবনের জন্য এসেছেন? এমন প্রশ্ন করলে আলমডাঙ্গার মানুষ তাকে চেনে না, এ সুবিধার কারণে আলমডাঙ্গায় আসেন বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে, একই দিনে এসআই টিপু সুলতান কালিদাসপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ১৪ পুরিয়া হেরোইনসহ নূর ইসলামের ছেলে মাদকব্যবসায়ী দুলালকে আটক করেছেন। এদেরকে আজ রোববার সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হবে।