স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের কুকীর্তির যেন শেষ নেই। তাকে নিয়ে স্থানীয়দের দেদার অভিযোগ। গতকাল শুক্রবার সুন্দরগঞ্জে শিশু সৌরভকে গুলির ঘটনার পর তার এমন বহু ভয়ংকর অপকর্ম সামনে চলে আসে। প্রায়ই তিনি ভোররাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অথবা বাইরে থেকে বাড়িতে ফেরেন। এ সময় তিনি এলোপাতাড়ি ফাঁকা গুলি ছুড়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত শীত মরসুমে বামনডাঙ্গা আবদুল হক ডিগ্রি কলেজ মাঠে যাত্রা, হাউজি এবং অশ্লীল নৃত্যের মাধ্যমে এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তা বন্ধ করতে যান। এ সময় এমপি লিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহুল হোসেন ও শরীফ আহম্মেদকে লাঞ্ছিত করেন। এ নিয়ে প্রশাসনের সাথে দীর্ঘদিন তার টানাপোড়েন চলে।
ঈদের দু দিন আগে ২৩ সেপ্টেম্বর ভোররাতে এমপি লিটন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে ফাঁকা গুলি করে ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় মাহমুদুল ইসলাম মামুন নামে এক ওয়ার্ডবয়ের বুকে রিভলবার ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দিলে মামুন দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এছাড়া বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কালিতলা বাজারে গত শীতে যাত্রা চলাকালে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনের সময় তিনি মঞ্চে উঠে নর্তকীদের সাথে অশ্লীল নৃত্যে শামিল হন। এ ধরনের আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিষ্ণুরাম রায় জানান, সংসদ সদস্য লিটন এর আগেও উপজেলার বামনডাঙ্গার চৌরাস্তা মোড়, রেলস্টেশন, শিববাড়ী মোড়, কানার মোড়, পাইটকাপাড়া মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় রাত-বিরাতে গুলি ছুড়ে মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করেছেন।
উপজেলা বাসদ (মার্কসবাদী) আহ্বায়ক বীরেনচন্দ্র শীল বলেন, একজন সংসদ সদস্য যিনি মানুষের নিরাপত্তা প্রদান করবেন, তার কাছে এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত। অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। জানা গেছে, এমপি লিটনের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গায়। তার ছেলে থাকেন ঢাকায়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বামনডাঙ্গায় থাকেন।