দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার রঘুনাথপুর ব্রিজ সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীসহ সুবলপুর-পাটাচোরা ভৈরব নদে আবারও নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ বাঁধ। বাঁধ নির্মাণের কারণে নদীতে স্রোত বেড়ে ভেঙে গেছে সুবলপুর-পাটাচোরা ভৈরব নদের ওপর নির্মিত একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে সুবলপুর ও এর আশপাশ গ্রাম থেকে আসা পাটাচোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সুবলপুর-পাটাচোরা ভৈরব নদের ওপর একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণের জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের আবারও সুদৃষ্টি কামনা করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সুবলপুর-পাটাচোরা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা ভৈরব নদ। পাটাচোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সুবলপুর, রঘুনাথপুর, আমডাঙ্গা, কাঞ্চনতলা, কিসমতপুর ও এর আশাপাশ গ্রাম থেকে আসা শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পাটাচোরা গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সুবলপুর-পাটাচোরা ভৈরব নদের ওপর প্রায় বছর দেড়েক আগে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। গত মঙ্গলবার স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়। এলাকাবাসীরা জানান, রঘুনাথপুর ব্রিজের নীচে মাথাভাঙ্গা নদীতে যে বাঁধটি রয়েছে সেটি ওই গ্রামের হারু হালদারের। আর ভৈরব নদে যে বাঁধ রয়েছে তা সুবলপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল আলিম, একই গ্রামের মৃত ছাব্দার আলীর ছেলে আ. খালেক, আবুল কাশেমের ছেলে মিলন, লোকমান হালসনার ছেলে সিদ্দিক এবং আ. রহমানের ছেলে মিরাজুলের। তারা আরো বলেন, যারা নদীতে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এছাড়া ভৈরব নদে পাট জাগ দেয়া ছিলো। বাঁধ নির্মাণের ফলে স্রোত বেড়ে ওই জাগের চাপে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে গেছে।
এ বিষয়ে পাটাচোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী জানান, শুধু ওই পাট জাগের চাপে সাঁকোটি ভাঙেনি। সাঁকোর অদূরে ভৈরব নদে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ বাঁধ। বাঁধ নির্মাণের ফলে নদীতে স্রোত বেড়ে যায় এবং স্রোতে পাট জাগ ভেসে এসে চাপ সৃষ্টি করার পরই বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে গেছে।