মেহেরপুর অফিস: নৃশংস হামলায় নিহত আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপুলের মা সাহিদা বেগম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মেহেরপুর যুবলীগের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে মাহফুজুর রহমান রিটনকে আহ্বায়ক ও শহিদুল ইসলাম পেরেশানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করায় আমরা শঙ্কিত, আশাহত হয়েছি। তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কারণ মাহফুজুর রহমান রিটন খুন মামলার এজাহারভুক্ত ও শহিদুল ইসলাম পেরেশান এজাহারভুক্ত আসামি।
জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপুলকে ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি রাত ৯টার খুন করা হয়। এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাহফুজুর রহমান রিটন ও পুলিশের চার্জশিটভুক্ত আসামি শহীদুল ইসলাম পেরেশান। সম্প্রতি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক করে কমিটি অনুমোদন দেয়ায় নিহত বিপুলের পরিবারের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মেহেরপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে নিহত বিপুলের মা সাহিদা বেগম লিখিত বক্তব্যে ওই কথাগুলো বলেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন- তারা যুবলীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক হওয়ায় তার পরিবার শঙ্কিত, আশাহত ও বেদনাহত। তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন- তারা কি রাজনীতিতে হত্যাকারীদেরও উৎসাহিত করেননি? তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবি করেন। এছাড়া তদন্ত সাপেক্ষে কমিটি বাতিলের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে নিহত বিপুলের শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাক ও পরিবারের লোকজনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে মেহেরপুর শহরের কাঁসারিপাড়াস্থ শহীদুল ইসলাম পেরেশানের বাড়িতে খুন হন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপুলকে।