জীবননগর ব্যুরো: পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর থেকে অডিট করতে এসে জীবননগর উপজেলার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অডিট টিমের ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করতে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের একটি টিম গত রোববার তদন্ত করেছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর দৈনিক মাথাভাঙ্গায় ‘১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ টাকা দাবি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের প্রেক্ষিতে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক এসএম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে দু সদস্যর তদন্ত টিম অভিযোগের তদন্ত করেন। তদন্ত টিমের অপর সদস্য নিরীক্ষা অধিদফতরের শিক্ষা পরিদর্শক এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, অভিযোগের বিষয়ে কলেজ ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। এখনই কিছু বলা হচ্ছে না। ঢাকায় ফিরে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের দুজন সহকারী অডিটর মো.
মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. হেমায়েত উদ্দীন জীবননগর উপজেলার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত ১৮ আগস্ট অডিট করতে যান। অডিট শেষে ওই দু অডিটর প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিকট শিক্ষক ও কর্মচারীদের এক মাসের বেতনের টাকা ঘুষ হিসেবে দাবি করেন। ঘুষের টাকা না দিলে বিপক্ষে রিপোর্ট দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এ হুমকির ফলে কিছু প্রতিষ্ঠান ঘুষ দিতে রাজি হয়। সে মোতাবেক চলতি মাসের ৫ সেপ্টেম্বর অডিটরদের দাবিকৃত ঘুষের টাকা ঢাকা গাবতলীতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলা হয়। শিক্ষকরা নির্ধারিত দিনে টাকা দিতে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে গাবতলীর নির্ধারিত স্থানে ৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় টাকা পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেন অডিটর মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু শিক্ষকরা টাকা জোগাড় করতে না পারায় এবারও যেতে ব্যর্থ হন।