চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়িতে বিরোধের জের ধরে হামলা চালিয়েছে সজল
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ির আব্দুল লতিফকে (২৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী সজল তাকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেলেও কী নিয়ে বিরোধ তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের সাতগাড়ি উত্তরপাড়ার ইকারউদ্দীনের ছেলে আব্দুল লতিফ। গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়িতেই ছিলেন। তাকে একই গ্রামের সজল কুপিয়ে জখম করে দ্রুত সটকে পড়ে। পরিবারের সদস্যরা আব্দুল লতিফকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। এ সময় আব্দুল লতিফ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, বাড়িতেই ছিলাম। হঠাত বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে একই পাড়ার জহুরুল ইসলামের ছেলে সজল। সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় দুটি কোপ মেরে দ্রুত পালিয়ে যায়।
কেন তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাব অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আব্দুল লতিফ খোয়া ভাঙার ব্যবসা করেন। আব্দুল লতিফের মাথায় ২০/২২টি সেলাই দিতে হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় গতরাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক গুরুতর জখম আব্দুল লতিফের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি জানান, আব্দুল লতিফ আমাদের কর্মী। ফলে উন্নত চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।