মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুরের ক্লিনিকগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিশেষ অভিযানে ৫টি ক্লিনিক সিলগালা ও ৯টি ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমারের নেতৃত্বে মহেশপুর উপজেলায় প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে অপচিকিৎসায় বারবার রোগী মৃত্যুর ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। মহেশপুর শহরের সীমা ক্লিনিক, ঐশী প্রাইভেট হাসপাতাল, গুড়দাহ কর্ণফুলি প্রাইভেট হাসপাতাল, নেপা মোড়ের পিয়ারলেস প্রাইভেট হাসপাতাল ও কহিনুর প্রাইভেট হাসপাতালসহ মোট ৫টি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ক্লিনিকগুলোর বৈধ কোনো কাগজ পত্র নেই এবং অপারেশন করার মতো পরিবেশ না থাকায় ক্লিনিকগুলো সিলগালা করা হয়েছে। ইতোপূর্বে আরো ৪টি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। মহেশপুরে এ ধরনের অবৈধ ক্লিনিক রয়েছে ২৫টি। ম্যাজিস্ট্রেট আরো জানান, তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডাক্তার আরিফ আহম্মেদ ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে ছিলেন।
উল্লেখ্য, মহেশপুর উপজেলার ভৈরবা বাজারের জননী ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে অপচিকিৎসায় ৬ রোগীর করুণ মৃত্যু এবং ৭ রোগী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনাটি দেশের পত্রপত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রচার হলে ঝিনাইদহ প্রশাসন তাদের পদক্ষেপ হিসেবে ইতোপূর্বে জননী ক্লিনিক ও লালন শাহ ক্লিনিক, সুমন ক্লিনিক, শুভ ক্লিনিক সিলগালা করে এবং গতকাল রোববার জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার গতকাল মহেশপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এদিকে মহেশপুর শুভ ক্লিনিকে সিজারিয়ান রোগী রেহেনা খাতুন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এমন সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ক্লিনিক মালিক সুভাস গত শনিবার বিকেলে রোগীর আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগী নিয়ে চলে গেছেন। এ বিষয়ে সুভাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তারা নিজ উদ্যোগে রোগের চিকিৎসা করাচ্ছেন। সুভাস দীর্ঘদিন ধরে ক্লিনিকের ওয়ার্ড বয় হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। বর্তমানে তিনি ২টি ক্লিনিকের পরিচালনা করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে ওই সুভাস ও তার স্ত্রী ডাক্তার সেজে অপারেশন করে থাকে এবং নিজেরা প্রেসক্রিপশন লিখে দেয়। ওই ক্লিনিকের আইনগত কোনো বৈধতা না থাকলেও রহস্যজনক কারণে ক্লিনিকটি বন্ধ হচ্ছে না।