গাংনী প্রতিনিধি: ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এই ব্রত নিয়ে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে খাদিজা-আশরাফ ফাউন্ডেশন। পরিবারের যৌথ ব্যবসায়িক লভ্যাংশ ও মূলধনের একাংশ থেকে সাহায্য হিসেবে পরিবারের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি থেকে সহায়তা পাচ্ছেন গাংনী পৌর এলাকায় গরিব, দুখি, অসহায় দরিদ্র বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, এতিম, দরিদ্র স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক গাংনীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রতিবছর গাংনী পৌর এলাকায় গরিব, দুখি, অসহায়, দরিদ্র বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, এতিম, দরিদ্র স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা, অসহায় মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় ৩ হাজার পরিবারকে বিশেষ সাহায্য কার্ডের মাধ্যমে ৪ থেকে ৫ বার সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে। এ কার্ডের মাধ্যমে প্রতি শীতকালে শীতবস্ত্র হিসেবে একটি করে কম্বল বা গরম কাপড়, রমজান মাসের রোজা শুরুর এক সপ্তাহ আগে কার্ডপ্রতি ১০ কেজি থেকে ২০ কেজি চাল ও ডাল, রোজা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগে পুরুষ কার্ডধারীকে একটি লুঙ্গি ও মহিলা কার্ডধারীকে একটি শাড়ি ও কোরবানির এক সপ্তাহ আগে প্রত্যেক কার্ডধারীকে ১০ থেকে ২০ কেজি চাল ও ডাল প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও বাজেটকৃত টাকা উদ্বৃত্ত থাকলে আরও একবার সাহায্য দেয়া হবে। গত রোজার ঈদের আগে কার্ডধারীদের সহযোগিতা দেয়া হয়।
এছাড়াও অসহায় দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, গাংনী শহর সংলগ্ন নিজস্ব অর্থায়নে একটি বৃদ্ধাশ্রম ও একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। অপরদিকে বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য গাংনীতে দু জায়গায় একটিতে সিরামিক কারখানা ও একটিতে গার্মেন্টস কারখানা স্থাপন করার পরিকল্পনা আছে, যেখানে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার বেকার ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থাপনের ব্যবস্থা হবে। যা ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াধীন। তাছাড়াও পৌর এলাকার গরিব, দুখি, এতিম, অসহায়, নিম্নবিত্ত অসুস্থ মানুষের উন্নত সুচিকিৎসার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ফাউন্ডেশনের সুফলভোগী কয়েকজন দুস্থ নারী জানান, বৃদ্ধা হয়ে গেলেও তারা অসহায় হয়ে পড়েন। পরিবারের কাছে তারা বোঝা হয়ে ওঠেন। তাই আশরাফুল ভেন্ডার তাদের সহায়তা করায় তাদের জীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এমন উদ্যোগ আরো কেউ নিলে অনেকেই ভালো থাকতে পারতেন। গাংনী মহিলী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রমজান আলী জানান, খাদিজা আশরাফ ফাউন্ডেশন যে মহতি উদ্যোগের কার্যক্রম হাতে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে এটি হবে এক অনূকরণীয় দৃষ্টান্ত।