যশোরের খাজুরায় পিতাকে ফাঁসিয়ে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে বউকে নিয়ে ছেলের পলায়ন

স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরায় পিতাকে ফাঁসিয়ে ৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে বউকে নিয়ে ছেলে উধাও হয়েছে। পাওনাদারের চাপে হতদরিদ্র পিতা পাগল প্রায়। বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের ধান্যপুড়া গ্রামের রনি ও তানিয়া নামের এক দম্পতির বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যাবার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের ও রনির পিতার সূত্রে জানা যায়, রনি ও তানিয়া দম্পতি হতদরিদ্র পিতা আলাউদ্দিন মিস্ত্রিকে ফাঁসিয়ে একাধিক এনজিও এবং স্থানীয় ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে গত তিন মাস যাবত উধাও হয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুজির পর তাদের না পাওয়ায় প্রতারণার এ অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রতারক রনির পিতা আলাউদ্দীন মিস্ত্রি জানান, তার বড় ছেলে রনি শহরে পাইকারি ডিমের ব্যবসা করতো, মাস তিনেক আগে হঠাত করে রনি তার পিতাকে জানান ব্যবসায় বড় ধরনের লোকসান হয়েছে। যার ফলে পুনরায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে ২/৩ লাখ টাকা লাগবে যা সে ঋণের মাধ্যমে নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। এজন্য গ্যারান্টার হিসেবে পিতার স্বাক্ষর প্রয়োজন। আলাউদ্দিন মিস্ত্রি বলেন, ছেলের উন্নতির কথা চিন্তা করে তিনি টিপসই দিতে রাজি হন। আর পিতার নিরক্ষতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতারক রনি তার পিতার ওই টিপসই দিয়ে একাধিক এনজিও এবং ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নেয়। ঋণ গ্রহণের দু সপ্তাহ পর রনি তার স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে বেড়াতে যাবার নাম করে উধাও হয়ে যায়। গত তিন মাস যাবত বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি ও তাদের মাধ্যমে সন্ধানে চেষ্টা চালান। কিন্তু তিন মাস পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে উপায়ন্ত না দেখে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ জানান রনির পিতা। হতদরিদ্র ওই মিস্ত্রি সাংবাদিকদের বলেন, আমি সহায় সম্বলহীন একজন মানুষ মেশিন মিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালায়। আর আমার নিরক্ষরতার সুযোগ নিয়ে আমারই ছেলে ও তার বউ আমাকে ফাঁসিয়ে টাকা নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। কিন্তু গ্যারান্টার হিসেবে তার টিপসই থাকায় এনজিও কর্মীরা ও পাওনাদারেরা তার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এরপরও তাদের সন্ধান না মিললে হয়তো ভিটেবাড়ি বিক্রি করে গাছতলায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে।