মক্কায় মসজিদ আল-হারামের ক্রেন ভেঙে হজযাত্রীসহ নিহত ৮৭

মাথাভাঙ্গা মনিটর: হজের প্রস্তুতির মধ্যেই মুসলমানদের পবিত্রতম স্থান কাবা শরিফ ঘিরে থাকা মসজিদ আল-হারামে একটি ক্রেন উল্টে পড়ে অন্তত ৮৭ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বাংলাদেশিসহ আরও দেড় শতাধিক মানুষ। সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্সের প্রধানের বরাত দিয়ে একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের অল্প সময় আগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ১৮৩ জনের মধ্যে অন্তত ৪০ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশি নাগরিক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, মাগরিবের আগে প্রচণ্ড বালু ঝড় হয়। এ সময় ক্রেনটি ভেঙে পড়ে। আমাদের চোখের সামনে বহু মানুষকে আহত নিহত হতে দেখেছি। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ মুসলমান হজ পালন করতে  বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই মসজিদে সমবেত হন। এবার প্রায় এক লাখ বাংলাদেশির হজে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে দুর্ঘটনাস্থলের ছবি পোস্ট করেছেন। এসব ছবিতে অনেক রক্তমাখা দেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে গণমাধ্যমগুলো এখনো এসব ছবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। খবরে বলা হয়েছে, ২২ লাখ মানুষ একসাথে হজ পালন করতে পারবেন এমন ব্যবস্থা রাখতেই সৌদি সরকার কয়েক বছর ধরে কাবা শরিফের কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ করছে। চলছে নির্মাণকাজ। এ কাজে বিশাল বিশাল ক্রেন ব্যবহৃত হচ্ছে। আজ একটি ক্রেনের সামনের অংশ মসজিদ আল হারামের ছাদের একটি অংশে ভেঙে পড়ে। এতে ছাদের ওই অংশ ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। সাথে ছিলো ঝোড়ো হাওয়া। ঝড়ের কারণেই ক্রেনটি ছিঁড়ে পড়ে থাকতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। খবরে বলা হয়, জুমার দিন উপলক্ষে সেখানে হজ করতে আসা মানুষের ভিড় অন্য দিনের তুলনায় বেশি ছিলো। এ কারণে হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মক্কার গভর্নর বলেছেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন।

টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবল ঝড়ের কারণে ক্রেন উল্টে পড়লে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। গত কয়েক দিন ধরে সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী বালি ঝড় বইছে। টুইটারে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, হজের ইহরাম পরিহিত রক্তাক্ত বহু মানুষের দেহ কংক্রিটের স্তূপের মধ্যে পড়ে আছ। ছাদ ভেঙে নেমে আসা লাল রঙের একটি বিশাল ক্রেনের অংশবিশেষও এসব ছবিতে দেখা যাচ্ছে। স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই এ মসজিদ সম্প্রসারণের কাজ চলছিলো। এই নির্মাণ কাজের জন্য বিরাট আকৃতির কয়েকটি ক্রেনও সেখানে রাখা ছিলো বলে এক ছবিতে দেখা যায়।

এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মাগরিবের আগে প্রচণ্ড বালি ঝড় হয়। এ সময় ক্রেনটি ভেঙে পড়ে। আমাদের চোখের সামনে বহু মানুষকে আহত ও নিহত হতে দেখেছি। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ মুসলমান হজ পালন করতে  বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই মসজিদে সমবেত হন।