মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেলা ইজিবাইক মালিক-চালক সমিতি প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শহরের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি এবং জেলা প্রশাসকের নিকট ইজিবাইকের চাবি জমা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি দিতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলার সব ইজিবাইক মালিক-চালকদের এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শহরে মাইক বের করলে পুলিশ প্রচারকারী ও ইজিবাইকের চালককে আটক করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মেহেরপুর শহরের বড়বাজার ৪ রাস্তার মোড় থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। জেলা ইজিবাইক মালিক-চালক সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম জানান, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি, ট্রাকমালিক গ্রুপ, মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক-ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের চাপের মুখে প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে তা ইজিবাইক মালিক-চালকদের জন্য অশুভকর। এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে ইজিবাইক মালিক-চালকদের পথে বসতে হবে। প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আমরা আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবো এবং রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের নিকট ইজিবাইকের চাবি হস্তান্তর করে পরিবার-পরিজন নিয়ে জেলা প্রশাসন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।
তিনি আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইজিবাইক মলিক-চালক সমিতির ওই সিদ্ধান্ত শেষে রাতে শহরে মাইক বের করা হলে রাত ১০টার দিকে মেহেরপুর শহরের বড়বাজার ৪ রাস্তার মোড় এলাকা থেকে ইজিবাইক মালিক ও চালক জিয়াউর রহমান ও প্রচারম্যান মাবুদ হোসেনকে আটক করে থানায় নেয়।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, ইজিবাইক মালিক-চালকদের প্রশাসন কর্তৃক বেধে দেয়া সীমানা অতিক্রম করে তারা নিজেদের মতো করে চলার চেষ্টা করছে, বিধায় পুলিশ তাদের আটক করেছে। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুলিশ রাস্তায় নেমেছে এবং প্রশাসনের বেধে দেয়া সীমানার বাইরে পেলে তাদের আটক করা হবে।
উল্লেখ্য, মেহেরপুরের ৪টি মহাসড়কে ইজিবাইক চলাচলের বিরোধীতা করে আসছিলো জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি, ট্রাকমালিক গ্রুপ, মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক-ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন। দাবি আদায় না হওয়ায় গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে তারা বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের বৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনাসভা শেষে বিকেল থেকে তারা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। এদিকে প্রশাসন ইজিবাইক চালক-মালিকদের চলাচলে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা করে।