কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভোটার হতে গিয়ে বরিশাল স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষের এক ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন অভিযোগে ভুক্তভোগী পরিবার পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের থানা মোড়ে কুষ্টিয়া রিপোর্টারস ইউনিটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই ছাত্রী। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের দফতরে আবেদন করলে তিনি কাজটি করে দেবেন বলে ৪/৫ দিন ধরে ঘোরাতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত ৩০ আগস্ট ওই কর্মকর্তার কথামতো বিকেলে তার কার্যালয়ে গেলে তিনি বসিয়ে রাখেন এবং সন্ধ্যায় অফিসের অন্যরা অফিস ত্যাগ করার ফাঁকে ওই কর্মকর্তা তাকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেন এবং যৌনহয়রানি করেন। ঘটনার পর ওই কক্ষ থেকে বিপর্যস্ত চেহারায় বেরিয়ে আসতে দেখে স্থানীয়রা বিষয়টি জেনে যান এবং ওই কর্মকর্তার ওপর চড়াও হন। এরপর সেখানে কী ঘটেছে তার কিছুই তিনি জানেন না বলে জানান। নিজের সম্ভ্রমহানির বিষয়টি ভয়ে চেপে যান ওই ছাত্রী। কিন্তু কে বা কারা ওই কর্মকর্তার অফিসে কী ঘটিয়েছে তার দায় ওই ছাত্রীর পরিবারের ওপর চাপিয়ে দিয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনকারী ওই কর্মকর্তা। মামলায় ওই ছাত্রীর দু ভাইকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীটি আইনি প্রতিকার নিতে না পারেন। একদিকে যৌন হয়রানির শিকার অন্যদিকে মামলার খড়গ চাপিয়ে দিয়ে পরিবারটিকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এর প্রতিকার ও ন্যায় বিচারের দাবি করেছেন নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কতিপয় ব্যক্তি নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবি করলে সেটা করে না দেয়ায় তারা আমার অফিস ভাঙচুরসহ যৌন হয়রানির এ নাটক তৈরি করেছেন।