দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার নতিপোতায় বাঁশঝাড়ের মধ্যে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্টে জলিল (৪০) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের মহর আলীর ছেলে। গতকাল সোমবার ভোর ৫টার দিকে বাড়ির অদূরবর্তী বাঁশঝাড়ের মধ্যে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে বাঁশঝাড়ের ওপর দিয়ে টানা পল্লি বিদ্যুতের তারে ওই বাঁশঝাড় বিদ্যুতায়িত হয়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একই গ্রামের কালু নামের আরো একজন বিদ্যুতায়িত হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এদিকে এ ঘটনার জন্য বিদ্যুত সরবরাহে পল্লি বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেছেন এলাকার সচেতনমহল।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের মোহর বাগের ছেলে দু সন্তানের জনক আ. জলিল গতকাল সোমবার ভোরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির অদূরবর্তী বাঁশঝাড়ের মধ্যে কাদায় পা পিছলে পড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি বাঁশ চেপে ধরেন। বাঁশ চেপে ধরার সাথে সাথে ওই বাঁশের ওপর দিয়ে টানা পল্লি বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের তার বিদ্যুতায়িত হয়ে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রায় দু ঘণ্টা পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জানাজা শেষে নিজ গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। নিহত জলিল ১ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক ছিলেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। কৃষক জলিলের মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহ দেখা দিলে ওই গ্রামের মৃত আলা উদ্দীনের ছেলে কালু কালভার্টের নিচে বাঁশঝাড়ের মধ্যে নামার সাথে সাথে সেও বিদ্যুতায়িত হয়। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধারের আগেই তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। এদিকে বিদ্যুতায়িত হয়ে কৃষক আ. জলিলের মৃত্যুর জন্য বিদ্যুত সরবরাহে পল্লি বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করে এলাকার সচেতনমহল বলেছে, পল্লি বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের তার ওই বাঁশ ঝাড়ের ওপর দিয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলেই বাঁশঝাড় বিদ্যুতায়িত হবে। দুর্ঘটনা এড়াতে পরামর্শ হিসেবে তারা আরো বলেন, হয় তার উঁচু করতে হবে, নয়তো বাঁশের আগা ছেটে দিতে হবে।