স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। এ ৩৭ বছরের ইতিহাসে এখন সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে দেশের অন্যতম প্রধান এ রাজনৈতিক দলটি। দীর্ঘ নয় বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা হামলা-মামলায় জর্জরিত। হাজার হাজার নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছাড়া। মুক্তি পাওয়ার পরও শীর্ষ নেতাদের কয়েকজন ‘ঘরমুখো’ হয়ে আছেন, আবার অনেকে আত্মগোপন থেকে বের হওয়ারই সাহস করছেন না। নেতাকর্মীদের যখন এ অবস্থা, সে মুহূর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর ঝুলছে সাজার খড়গ। আর এ অবস্থার মধ্যেও নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও সন্দেহ-অবিশ্বাসের কারণে সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত দলটি। এরশাদ সরকারের আমলে দলে দফায় দফায় বড় ধরনের ভাঙনের মুখে পড়লেও বিএনপি আজকের মতো এমন বৈরী পরিস্থিতির মুখে পড়েনি। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের আন্দোলন তাকে আপসহীন নেত্রীর ইমেজ এনে দেয়। আর ৯১-এর নির্বাচনে বিএনপি আসে ক্ষমতায়। ৯৬ সালে ক্ষমতা হারিয়ে সাময়িক অসুবিধার মধ্যে পড়লেও বিপর্যয় শব্দটি ছিলো না আশপাশে। এরপর ২০০১ সালে নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর আবার ঘুরে দাঁড়ায় বিএনপি। কিন্তু ২০০৬ সালে ক্ষমতা হারানোর পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির পরও বিরোধী দলে থেকে মন্দের ভালো সময় কাটায় দলটি। তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বিএনপি এখন সরকারেও নেই, নেই বিরোধী দলেও। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের একবছর পূর্তিতে ফের সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু করে দলের কয়েক লক্ষাধিক নেতাকর্মী এখন মামলার জালে আটকা। নির্বাচনের পর বিভিন্ন স্থানে বন্দুকযুদ্ধে একের পর এক নেতাকর্মী নিহত হওয়ায় দলটির তৃণমূলে দেখা দিয়েছে নতুন আতঙ্ক। অন্যদিকে বিএনপির প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলন শক্ত হাতে মোকাবেলা করে সরকার পরিচালনা করছে। সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে কঠিন অবস্থা থেকে আরো কঠিনতর হচ্ছে।